নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে দিনে স্কুল ছাত্রীর সাথে ইভটিজিং এবং রাতে মা মেয়ের উপর হামলার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করার পর ঘটনাটি শালিস বৈঠকে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,দিন মজুর
আব্দুর রহিম নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আব্দুর রহিমের মেয়ে নাদামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রী বিদ্যালয় থেকে বাড়ি আসার পথে তার সাথে ইভটিজিং করে একই গ্রামের সিতাই মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া(২০)। ইভটিজিং করেই সে শান্ত থাকেনি। রাত সাড়ে ১০টায় আবারও খোকন ৫/৬ জন সঙ্গী নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ছাত্রী ও মায়ের উপর হামলা চালয়। হামলায় ছাত্রী ও মা ক্ষতবিক্ষত হয়। ফলে ওই ছাত্রীীর মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়াসহ মা য়ের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে এসআই আবু বকর ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে এলাকায় এতো বড় একটি ঘটনা ঘটলেও রহশ্যজনক কারনে নীরব থাকেন ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মাসুক আলী ঘটনাটি দ্রুত দেখার জন্য ফাড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করলেও তিনি নীরব থাকেন। বিচারের বানী যেন নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
এদিকে ঘটনার ৩ দিন পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেন জনৈক এক সাংবাদিক। এতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাৎক্ষণিক ফাড়ির এস আই আবু বকর একদল পুলিশ নিয়ে হামলাকারীদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্ত কাউকে আটক করতে পারেননি।
পরে এস আই আবু বকর উভয় পক্ষের সাথে আলাপ করে গত বুধবার রাতে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়িতে এক শালিস বৈটক বসেন। বৈঠকে বাদী বিবাদী উভয়ই উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ আলোচনা করার পর হামলাকারীদের জরিমানাসহ আর কোন দিন এমন কর্মকান্ড করবেনা বলে অঙ্গীকার নামা নেয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে এসআই আবু বকর বলেন,উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে। আর কোন দিন এমন ঘটনা করবেনা বলে খোকনের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। বাদী পক্ষও সন্তুষ্ট হয়েছেন।
Leave a Reply