গত ২০২২ সালের ৩ জুন দুপুরে সুচিত্র গোপের বাড়িতে এসে জহুরুল হক এবং হোসাইন আহমেদ লালন গংরা হামলা করেছিল। সেই হামলায় নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের শুভ্র গোপ ও সুটিত্র গোপের মা, বাবা গুরুতর আহত হয়।
ঘটনার পরে সুচিত্র গোপ বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে গত ৫ জুন ২০২২ জিআর-৫/১১৯ মামলা দায়ের করেছিল। প্রায় ১৬ মাস পরে গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সেই মামলার রায় হয়েছে।
সেই রায়ে মোট ৪ জনকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। ২ জনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড, ১ জনকে ১ মাস কারাদন্ড, ও ১ জনকে ৭ দিনের কারাদন্ড শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। মামলার বাদী শুভ্র গোপ জানায়, আমার পরিবার কোর্টের রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার পরিবার দেরীতে হলেও ন্যায় বিচার পেয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত আমাদের জায়গাটি জোরেবলে রহিম গং দখল করে আছে।
৩ জুন, ২০২২ ইং তারিখের হামলার পরে সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বিগত ১১ জুন, ২০২২ ইং তারিখে আমাদের নবীগঞ্জ থানায় একটি সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের জায়গাটি দখলমুক্ত করে বিষয়টি নিষ্পত্তির একটি রায় দেয়া হয়েছিল।
সেই সালিশে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধেয় হবিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, নবীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও শেখ মহিউদ্দিন, নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা ও নবীগঞ্জ উপজেলার হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু আজ পর্যন্ত জহুরুল হক এবং হোসাইন আহমেদ লালন গংরা আমাদের জায়গাটি দখল করে জোরেবলে এবং আমাদের উপর তাদের নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। বিচারক মাসুমা আক্তার বিচারিক আদালত- জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪, হবিগঞ্জ গতকাল এ দন্ডাদেশের রায় প্রদান করেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply