হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) স্কিম এর আওতায় এসইডিপি’র অধীনে পিবিজিএসআই স্কিম কর্মকাণ্ডের নির্দেশিকা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং সচেতনতার উপর ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৩ জুন) সকাল ১০ ঘটিকায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দিনব্যাপি কর্মশালায় কলেজ, মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিবৃন্দ অংশ নেন।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ’র সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হাসান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, শচিন্দ্র কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শরিফ উল্লাহ, শেখ শামছুল হক কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাশ, সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহমদ ভূইয়া, বিএসডি মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বির আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, একাডেমিক সুপার ভাইজার সম্পদ কান্তি দাশ তালুকদার, এলআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন,
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার খানম, রত্না উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদার, মুরাদপুর এসএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, হাফেজ শামরুল ইসলাম, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আতাউর রহমানসহ উপজেলার কলেজ, মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী বলেছেন, আব্দুল মজিদ খান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সততার সাথে কাজ করে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতায়নসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি যে উন্নয়ন করেছেন এরপূর্বে কোন এমপি এতো উন্নয়ন করতে পারেননি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আব্দুল মজিদ খান এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হবে। স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হলে স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। স্মার্ট শিক্ষকরাই তৈরি করবে স্মার্ট শিক্ষার্থী।
এভাবেই গড়ে উঠবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ। সরকার এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুধু পুরস্কৃত করবে না, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালণনা পরিষদকেও পুরস্কৃত করবে। এতে তৈরি হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক বিল্ডিং, আসবাবপত্রসহ সাব্জেক্ট অনুযায়ী শিক্ষক রয়েছেন। তার পরেও কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন পাঠদান করানো হচ্ছেনা। শুধূ বিল্ডিং শিক্ষক ও শিক্ষার্থী থাকলেই হবেনা।
পরিচালনা কমিটির যথাযথ দায়িত্ব পালনসহ প্রত্যেক শিক্ষককে আন্তরিকতার সহিত পাঠদান করাতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর সপ্নের বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ এলাকার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরথেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, মসজিদ, মন্দিরসহ এমন কোন স্থাননেই যেখানে আমি কাজ করিনি।
কেউ আমাকে উন্নয়ন মূলক কাজ কারার জন্য বলতে হয়না। যতদিন বেঁচে থাকব এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply