নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামে গভীর রাতে জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে একটি গরীব অসহায় পরিবারের দুই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামের শহিদ মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ী বাসডর গ্রামে যান। শহিদ মিয়া বাড়ীতে না থাকায় ওইদিন রাতে আবিদুর মিয়ার দুই কন্যা সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী অনুমান ১২ ও ১৪ বছর বয়সী দুই বোন তারা পাশের বাড়ী শহিদ মিয়ার ঘরে রাতে ঘুমাতে যায়।
ওইদিন রাত অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে একই গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র ফয়জুল হক (২৫) ও রহমত আলীর পুত্র নান্টু মিয়া (২২) শহিদ মিয়ার বাড়ীর (ঘরের) জানালা দিয়ে ঢুকে তাদের জোরপূর্বক টানা হেছড়া করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওইসময় তাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তখন ফয়জুল হক ও নান্টু মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনা নিয়ে গত মঙ্গলবার ১৬ মে রাত অনুমান ১০টায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শালিস বৈঠকে ধর্ষণের চেষ্টাকারীর আত্মীয় বাছিত মিয়া, কবির মিয়া, ওয়াজিদ মিয়া, হোসাইন, বক্কর, কায়ুম, ছাবির, এবাদুর, জব্বার গংরা মিলে ধর্ষণের চেষ্টাকারী ফয়জুল হক ও নান্টু মিয়াকে শালিস বৈঠক থেকে বিষয়টি সমাধান না করে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এনিয়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শালিস বৈঠকে উপস্থিত লোকজনের উপরে বাছিত মিয়া, কবির মিয়া, ওয়াজিদ মিয়া, হোসাইন গংরা হামলা চালায়। ওই ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। উক্ত ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply