রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ইব্রাহিমপুরের বাঁশবাজার নামক স্থানে সুমন পোল্টি ফিড ও মেডিসিন কর্নারের পরিচালক মুশফিকুর রহমান সুমনের দোকানে লুটপাটের ভুয়া অভিযোগে জেলে প্রেরনের জন্য সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করলো ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্য ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার অনুমানিক রাত ১২ টায় বাদীর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে নবীনগর থানা পুলিশ মাহমুদ চৌধুরী সাদ্দাম (৩০) ও তার ভাই সুমেল চৌধুরী (৪০) কে গ্রেফতার করে বুধবার জেলহাজতে প্রেরণ করে।
সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, সাদ্দামদের একটি পুকুর রয়েছে যা পত্তন দিয়েছিল আনিসুর রহমানকে। পরে পুকুরের চুক্তিনামার কাগজ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় সুমনের দোকানে। এর জের ধরে সাদ্দাম ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন রাতে নগদ বিশ (২০) লক্ষ টাকাসহ লুটপাটের অভিযোগ করেন বাদী।
মোরশেদ আলম নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দোকানে একাধিক সিসি ক্যামেরা আছে। আপনারা ক্যামেরা
টাইন্না দেখেন মিথ্যা মামলা দিছে।
এই প্রতিবেদক বাদীর ভাইয়ের কাছে হাতাহাতির ঘটনাস্থল উল্লিখিত লুটপাটের স্থান দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত আমার ক্যামেরা নষ্ট।
বিবাদীর বড় ভাই জুয়েল বলেন, পার্টনারশিপ ব্যবসায়িক হিসাব নিয়ে, তর্ক বিতর্ক হয় কিন্তু পুলিশ যাচাই-বাছাই না করে আমাকেও আসামি করে। আমার দুই ভাইকে ধরে নিয়ে কোটে চালান দিছে। আমি জামিনে বের হলেও আমার ভাই জেল হাজতে আছে। আমি এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
এ বিষয়ে মামলার আইও এসআই মান্নানের কাছে মুঠোফোন জানতে চাইলে বলেন, মামলা নেওয়ার দায়িত্ব ওসি স্যারের আমার না। দোকানের ভিতরে দুটি ক্যামেরা কাজ করে না শুধু বাহিরের ক্যামেরা কাজ করে তাই মামলা তদন্তনাধীন রয়েছে।
তদন্ত ছাড়া আসামি জেলহাজতে পাঠানো যায় কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, কয়টা মামলারী তদন্ত হয়!
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এই মামলা তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply