সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও তার ইউনিয়নের এক মেম্বারের বিরুদ্ধে তরুনীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার তরুণী ধর্ষকদের হাত থেকে পালিয়ে নিজে থানায় গিয়ে এমন অভিযোগ করেন। জানাযায়, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সাথে ওই কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মলয় অন্যত্র বিয়ে করার প্রস্তুতি নিলে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে যায়। মলয়ের অভিভাবকেরা বিষয়টি স্থনীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুকে জানায়। সাথে সাথে চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু মলয়ের বাড়িতে গিয়া বিষয়টি সমঝোতা করে দেবার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতে তার অফিসে নিয়ে আসে এবং চেয়ারম্যান ও তার পরিষদের মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে ওই কিশোরীকে রাতভর ধর্ষন করে।
সকাল ৮টায় ওই কিশোরী কৌশলে তাদের কাছ থেকে ছুটে দৌড়ে থানায় যায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই কিশোরী শাল্লা থানায় অবস্থান করছে।
কিশোরীর ভাই অসীম কুমার দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বোনকে মলয়ের বাড়ি থেকে গত রাতে বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস তাদের পরিষদে নিয়ে আসে। পরদিন শুক্রবার ১৬সেপ্টম্বর সকালে আমার বোন শাল্লা থানায় রয়েছে জানতে পেরে আমি আমার বোনের সাথে কথা বলে জানতে পারি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস দুজনে মিলে আমার বোনকে ধর্ষন করে। বর্তমানে আমার বোন শাল্লা থানায় রয়েছে।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুর মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মেম্বার দেবব্রত দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন মেয়েটি আমাদের হেফাজতে আছে, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply