1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে ফেসবুক-ইউটিউবকে আইনি নোটিশ - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে ফেসবুক-ইউটিউবকে আইনি নোটিশ

বাংলা কণ্ঠ ডেস্কঃ
  • রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে
উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে ফেসবুক-ইউটিউবকে আইনি নোটিশ
উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে ফেসবুক-ইউটিউবকে আইনি নোটিশ। ছবিঃ সংগৃহীত

উসকানিমূলক এবং সামাজিক জীবনে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এমন সংবাদ এবং ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান ডাক ও ইমেইলে এই নোটিশ পাঠান।

তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসিবিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উস্কানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ও জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭এ এর ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ১৩, ১৬, ২৫ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।

নোটিশে আরো বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশেরও।

নোটিশে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএর স্পষ্ট নীতি ও ফেসবুক-ইউটিবের সাম্প্রতিক রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থী।

ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান বলেছেন, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াগুলো অবশ্যই আমাদের বাক স্বাধীনতা চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে বাকস্বাধীনতার চর্চার নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আমরা যেন সহিংসতা এবং নাশকতাকে উৎসাহিত না করি।

এ বিষয়ে অবশ্যই বিটিআরসি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আরো সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD