জামালপুরে নজিরবিহীন লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যাবস্থাপনা, দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জামালপুর জেলা বিএনপি।
রবিবার (৩১জুলাই) জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার এর সভাপতিত্বে জামালপুরের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন -বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড.শাহ ওয়ারেস আলী মামুন , জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আনিসুর রহমান বিপ্লব,শহর বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী ,সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিউর রহমান শফি,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহমেদ খান লোটন, মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. মনজুর কাদের বাবুল খান, ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন – প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন আন্দোলনে বাধা নাই,এমনকি তাকে ঘেড়াও করতে গেলেও পুলিশ বাধা দিবে না, অথচ আজ ভোলায় বিদ্যুতের দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা ,গুলি করে লাশ ফেলেছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকার দায়ী।
সরকারের দুর্নীতি,লুটপাট,দু:শাসনে জনদুর্ভোগের শিকার বিক্ষুব্ধ জনগণকে দমন করতে ও ভয় দেখাতে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে ভোলায় গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।আবদুর রহিমের রক্ত বৃথা যাবে না।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, জনগণ এই খুনী সরকারকে আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেবে না। আবদুর রহিমের রক্তাক্ত পথ ধরে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হলো। তিনি বলেন, শুধু বিদ্যুৎ বা জ্বালানি খাত নয়,দুর্নীতি লুটপাট করে,অধিকার হরণ করে সরকার দেশটাকেই লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। শুধু মেগা প্রকল্প নয় ছোট ছোট প্রকল্পেও পুকুর চুরি হচ্ছে। গরীবের চাল,ত্রান,টাকা আওয়ামী লীগের নেতারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছে।
এমনকি প্রতিবেশীর ছাগলও চুরি করছে তারা।তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুতের দেয়ার নামে গত ১২ বছরে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা দলীয় নেতাকর্মী ও অনুগত ব্যাবসায়ীদের পকেটে দেয়া হয়েছে । লোডশেডিং ও দারিদ্র্যতাকে যাদুঘরে পাঠানোর দাবি করে এখন তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে ঘরে ঘরে বোবাকান্না। জনগণের হাতে হারিকেন ও হাত পাঙ্খা ধরিয়ে দিয়েছে সরকার।
নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে । প্রায় অর্ধেক জনগণের দুবেলা খাবার জোটে না। জনগণ আজ অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। জনগণ এবার জনদুর্ভোগ সৃস্টিকারী জন অধিকার হরণকারী সরকারের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেবে। আওয়ামী সরকার কর্তৃক গণতন্ত্র মানবাধিকার ,ভোটাধিকার হরণ করে সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের গণততান্ত্রিক ও মানবিক চরিত্র গুম করেছে। এ সরকারকে এবার বিদায় নিতেই হবে।
তারা বলেন,সরকার ও নির্বাচন কমিশন যতই ষড়যন্ত্র ,নাটক করুক না কেন,আওয়ামী সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ফফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করেই এবার নির্বাচন হবে বলে তিনি সমাবেশে উল্লেখ করেন।
Leave a Reply