জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলেন বাঙ্গালী জাতিকে। তারই কণ্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন বিরামহীন ভাবে। দেশ এবং জাতির জন্যে বঙ্গবন্ধু জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাঠিয়েছেন কারাগারে, তার জীবনের চাওয়া পাওয়া বলতে যা বুজায় তিনি চেয়েছিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তাই ১৯৭১ সালে তারই আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে।
নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দু‘লক্ষ মা-বোনের ইজ্বতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সম্বৃদ্ধশালী সোনার বাংলা।
বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্থানী কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তখন দেশ ছিল শুন্য, শুধু হাহাকার, ভঙ্গারস্তাঘাট মেরামত, পাকিস্তানীরা সব নিয়ে গেছে। ১৯৭২-১৯৭৫ এই আড়াই বছর সময়ে দেশকে তিনি এগিয়ে নিয়েগিয়েছিলেন অনেক দূর। কিন্তু স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং বিদেশী ষঢ়যন্ত্রের কারণে তাঁকে স্বপরিবারে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭৫এর ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। থেমে যায় দেশের অগ্রগতি। স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশেকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। পাল্টে ফেলা হয় জাতীয় শ্লেগান, আবির্ভাব ঘটে সাম্প্রদায়িক গোষ্টিীর। দীর্ঘ ২১ বছর চলে দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেবার চেষ্টা। জিয়াউর রহমান ইনডেননিটি অধ্যাদেশ জারিকেরে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দেয়, পূনর্বাসিত করে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজাকরদের হাতে তুলে দেয়া হয় দেশের জাতীয় পতাকা। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করে। বন্ধৃ করে দেয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
১৯৭৫ সালে দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা, আমর মনে হয় জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্টার জন্যই শেখ হানিনাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন দেশের সাধারণ মানুষের মনে আশার সঞার হয়। তিনি দেশে ফেরার পর থেকে অদ্যাবধি ৯৯বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তিনি অলৌকিক প্রতিবারই ভাবে বেঁচে যান। ২০০৪ সালে তৎকালীন জামাত-বিএনপি চারদলীয় জোট সরকারের সময় সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে তার উপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময় সরকারের মদদে দেশে আবির্ভাব ঘটে জঙ্গিদের। বাংলাভাই মুফতি হান্নান সহ আফগান ফেরত জঙ্গিরা দেশে গড়ে তোলে, আনসারুল্লা বাংলা টিম, জেএমবির মত অসংখ্য জঙ্গি সংগঠন।
বিশেষ করে ২০০৮ সাল থেকে শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর দেশের চেহারা পাল্টাতে থাকে। প্রথমেই উদ্যোগ নেন জঙ্গিনির্মুলের, জঙ্গি দমনে তার নীতি জিরো টলারেন্স। ঘটতে থাকে দেশের উন্নয়ন। দেশের জিডিপি বাড়তে থাকে। উন্নয়নশীল দেশ গুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশের জিডিপি ৬.৭%। বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাথে তার কুটনৈতিক সম্পর্ক আরো জোড়লো হয়। তিনি সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে যখন একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প এবং মেঘা প্রজেক্ট গ্রহণ করেন, তখন বিরোধীরা একাত্ত হয়ে চালাতে থাকে অপপ্রচার।
বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও উপরে। কেউ যাতে না খেয়ে থাকতে হয় প্রগন করেন প্রকল্প, দেশে চালু করেন, বয়স্ক এবং বিধবা ভাতা। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পয্রন্ত বিনা মূল্যে বই সর্বরাহ করা হয় বছরের প্রথম দিন। কেউ যাতে আশ্রয়হীন ও গৃহহীন না থকে দেশব্যাপী চালু করা হয়, জমিসহ পাকা ঘর বরাদ্ধ। এই বছরের সমগ্র দেশে দুই লক্ষ পরিবারকে ঘর বাড়ি দেয়া হয়। নারীর ক্ষমতায়ানে নেন বিশেষ প্রকল্প এর আওতায় প্রতিটি সেক্টরে নারীরা সমান অধিকার ভোগ করছে। কোভিড-১৯ এর সময়ও দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা। দেশে শতভাগ বিদ্যুতের নিশ্চয়তা করেছেন। তার পরেও একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত দেশের মানুষ এখন বুঝে । এইসব অপপ্রচারে কাজ হবেনা। বর্তমানে দেশে তেল, গ্যাস এবং ডিজেলের প্রচুর মওজুদ রয়েছে। রপ্তানি বানিজ্য বেড়েছে দ্বিগুন। শেখ হাসিনা বলেন আমার চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। ‘’ আমি চাই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে। একটি দরিদ্র দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষতায় থাকবেন বাংলাদেশ ভাল থাকবে । এটি আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। বিরোদী
দেশের একটি মহল যখন দেখছে শেখ হাসিনা সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে একের পর এক উন্নয়ন কায্রক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক সেই মূহুর্থে একটি দেশ বিরোধী চক্র অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। দেশবাসীকে অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহবান জানিয়ে লিখার ইতি টানছি।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply