1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
সময় নেই এখন জেগে উঠতে হবে : ফখরুল - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন

সময় নেই এখন জেগে উঠতে হবে : ফখরুল

বাংলা কণ্ঠ ডেস্কঃ
  • শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে
সময় নেই এখন জেগে উঠতে হবে : ফখরুল

বিএন‌পির নেতাকর্মী‌দের উদ্দেশে বিএন‌পির মহাস‌চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব‌লে‌ছেন, আর সময় নেই এখন জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ সরকারকে একটা ধাক্কা দিতে হবে। ‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’।

তি‌নি ব‌লেন, এখন আর অনেক দফাটফা নাই। এখন একটাই দফা, এক দাবি এই মুহূর্তে পদত্যাগ করো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করো। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে এই সংসদ বাতিল করো এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দাও।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে জ্বালানি, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের পতনঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখন বিদ্যুৎ, এর পরে জ্বালানি তেল, এর পর দেখবেন খাজাঞ্চিখানা শূন্য হচ্ছে, রিজার্ভ শেষ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে আকাশচুম্বী হয়ে।’

সমাবেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে সামবেশে যোগ দেন বিএনপির নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা। তাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই হ্যারিকেনটা গণভবনে হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দেন। তার হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দেন। শুধু এই মিটিংয়ের মধ্যে হ্যারিকেন নিয়ে আসলে হবে না। যখনি অন্ধকার আসবে, যখনি লোডশেডিং হবে তখনই হ্যারিকেন আর মোমবাতি নিয়ে বের হবেন। কারণ এই মোমবাতি ও হ্যারিকেন নিয়ে বের না হলে আমরা আলোকিত হব না।’

এই সরকার বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। লুট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২২ সালে শুধু বিদ্যুৎখাতে লোকসান হয়েছে আটাশ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য বছর মিলিয়ে লক্ষ কোটি টাকা এই লোকসান ছাড়িয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগেই আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রীরা হাতিরঝিলে আতশবাজি ফুটিয়ে উৎসব করে ঘোষণা দিল– শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে দেশ লোডশেডিংমুক্ত হলো। আর এখন শহরে দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ যায়, আর গ্রামে যেখানে এখন বোরোর মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সেচের দরকার, যার জন্য বিদ্যুৎ দরকার। সেখানে সাত-আট ঘণ্টা কোনো বিদ্যুৎ থাকে না।

কারা এই টাকাগুলো নিয়েছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সামিট গ্রুপ এক বছরে নিয়েছে ৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ। বিদ্যুৎ উৎপাদন করে না, বিদ্যুৎ দেয় না কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জের টাকা নিয়ে চলে যায়। আরেক দিকে রয়েছে ন্যাশনাল, ৬ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। দ্য পাওয়ার হোল্ডিং ৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, ইউনাইটেড গ্রুপ ৪ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা, কেপিপিএল নিয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এমন দশটা কোম্পানি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সাথে ওৎপ্রতভাবে জড়িত, তারাই শত শত কোটি টাকা বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই নিয়ে চলে গেছে।

এই বিদ্যুৎ আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছিলো। এই পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো নিয়ে এসেছিলো কোনো টেন্ডার না করেই হাজার হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় এবং এগুলোর জন্যে কোনো মামলা করা যাবে না– ইনডেমনিটি আইন তৈরি করেছে এই সরকার। একদিকে ট্যানেল নির্মাণ করছে অন্যদিকে মানুষের খাওয়ার টাকা নাই। শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দু’বেলা খাবার পায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার– এদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে লুটপাট করা, মিথ্যা বলা। গতকালই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানির ঘাটতি নেই। ‘ঘাটতি না থাকলে সাত-আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না কেন? কেন তেল ও গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে’ বলে প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমএফ থেকে টাকা ধার নেব না। আমরা এখনো খুব শক্তিশালী আছি অর্থনীতির মধ্যে। কিন্তু কালকে আমরা পত্রিকায় দেখলাম সাড়ে ৪ শত বিলিয়ন ডলার তারা ধার চেয়েছেন আইএমএফ-এর কাছে থেকে। আপনারা দেখবেন, এই সরকার মুখে এই সমস্ত কথা বলে, অনর্গল মিথ্যা কথা বলে। মানুষের সাথে প্রতারণা করে বোকা বানিয়ে রাখে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা শূন্য হয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্র ও মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD