নবীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা অবনতি রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর অবিরাম বৃষ্টিপাতে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ইউনিয়নে গত ৫ দিন ধরে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। ২ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের বাড়ী ঘরে বুক পর্যন্ত পানি রয়েছে।
ফলে দুর্ভোগে রয়েছেন দুই ইউনিয়নের মানুষ। বিশেষ করে গবাদি পশু,গর্ভবতী মহিলা,শিশু,বৃদ্ধাদের নিয়ে মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে মোট ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র সরকারীভাবে খোলা হয়েছে। এদিকে নতুনভাবে আউশকান্দি,কালিয়ারভাঙ্গা,সদর ইউনিয়নেরএকাংশসহ অন্যান্য ইউনিয়নের অনেক গ্রামেও বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন বাড়ীঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে পারকুলে বিদুৎপ্লান্ট। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বিদুৎ পাওয়ার প্লান্ট পানিতে তলিয়ে যাবার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে ২০ জুন সোমবার বন্যা পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যক্রম তদারকি এবং মনিটরিং করতে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান। তিনি উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর, গালিমপুর ও মতিউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহি উদ্দিন , উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) উত্তম কুমার দাশ প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক দিঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর, মাধবপুর, মতিউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকার প্রদত্ত খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন জানান, নবীগঞ্জে ইতিমধ্যে ১,২,৩,৪,৫,৬, ৮ নং ইউনিয়নে খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ ও দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে । সরকারীভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সহায়তা রয়েছে। তিনি সকলকে সাথে নিয়ে যথাযথভাবে ত্রাণ বিতরণে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
Leave a Reply