ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, পৃথিবীর সব শহরের একটি সময়সীমা আছে, ঢাকা শহরের কোনো সময়সীমা নেই। তাই আগামী ১ জুলাই থেকে ঢাকা শহর রাত ৮টার পর বন্ধের উদ্যোগ নেব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স ও বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, করোনার সময় জনজীবন যখন স্তব্ধ ছিল তখন আমরা প্রকৃতিতে সজীবতা জেগে ওঠতে দেখেছি। কারণ প্রকৃতির বিশ্রাম করার সময় লাগে। আমরা সারাদিন ঢাকার ওপর অত্যাচার করব আর ঢাকা আমাকে সুন্দর পরিবেশ উপহার দেবে, তা আশা করা ঠিক নয়। এ সময় তিনি রেস্তোরাঁ ও অত্যাবশ্যকীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে বলেও জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যেকোনো ধরনের ইমারত নির্মাণ করলে সেখানে অবশ্যই সোক-ওয়েল ও সেপটিক ট্যাঙ্ক থাকতে হবে। না থাকলে সেসব স্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
শেখ তাপস আরো বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে নর্দমাগুলো করা হয়েছে, সেই নর্দমাগুলো শুধু পানি নিষ্কাশনের জন্য। সেগুলো পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নয়। পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবে ঢাকা ওয়াসা। যেহেতু ওয়াসা পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেনি সেহেতু ঢাকাবাসী এর সংযোগগুলো আমাদের নর্দমায় দিয়ে দেয়। যার কারণে, এ নর্দমাগুলো থেকে পয়ঃবর্জ্য খালে গিয়ে পৌঁছায়। ফলে বর্তমানে খালের পানি কালো।
তিনি আরো বলেন, ৩৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ঢাকা শহর নিমজ্জিত হয়ে যায়। সুন্দর ঢাকার জন্যে আমরা ১০টি খেলার মাঠ তৈরি করেছি। খালগুলো দখলমুক্ত করা হয়েছে। এখন নান্দনিকভাবে অবকাঠামো স্থাপনার কাজ শুরু হবে।
আইন অনুযায়ী, সব জলাশয়, খাল, পুকুরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। ঢাকায় তিনটি গাছ লাগালে একটি কদমফুল গাছ লাগাবেন। কদমফুল এমন একটি গাছ যেখানে বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ এসে বসে। জীববৈচিত্র্য দিকে খেয়াল রেখে আমরা মশার ওষুধ দিয়ে থাকি।
সেমিনারে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পের টিম লিডার ড. আইনুন নিশাত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বুয়েটের ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শহিদ উল্লা খন্দকার, জিআইজেড বাংলাদেশের অ্যাডাপটেশন অব আরবান এরিয়াজ টু ক্লাইমেট চেইঞ্জ-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ড. ডানা দে লা ফনটেইন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এর প্রকাশনা উন্মোচন এবং অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২৩-এর ঘোষণা দেয়া হয়।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply