যুক্তরাষ্ট্রে ২১ জনসহ বিশ্বে সাত শ’রও বেশি মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে শুক্রবার দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে।
সিডিসি আরো জানায়, তদন্তে দেখা যাচ্ছে এটি দেশের অভ্যন্তরেই ছড়াচ্ছে।
সিডিসি বলছে, প্রথম ১৭ রোগীর ১৬ জনই পুরুষ এবং এরা পুরুষের সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিরা ভ্রমণ সম্পর্কিত কারণে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সকল রোগীই সুস্থ হচ্ছে কিংবা সুস্থ হয়েছেন। এতে কেউ মারা যাননি। মাঙ্কিপক্সের সাথে স্মলপক্সের সম্পর্ক থাকলেও এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ।
মাঙ্কিপক্স সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা গেলেও গত মে মাস থেকে এটি ইউরোপেও শনাক্ত হয়। এর পর থেকে বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
কানাডা শুক্রবার নিশ্চিতভাবেই ৭৭ জন মাঙ্কিপক্স রোগীর সংখ্যা প্রকাশ করে। এদের অধিকাংশই কিউবেক প্রদেশের।
ইউরোপে সমকামী উৎসব থেকে নতুন করে মাঙ্কিপক্স ছড়ালেও এটি সংক্রমণের ক্ষেত্রে যৌন সংসর্গ দায়ী নয় বলে মনে করা হচ্ছে। বরং আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকের সংম্পর্শে এলে অপরজনও এতে আক্রান্ত হচ্ছে।
মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে বর্তমানে দুটি অনুমোদিত ভ্যাকসিন রয়েছে। এর একটি এসিএএম২০০০ এবং অপরটি জেওয়াইএনএনইওএস। এ দুটি ভ্যাকসিন মূলত স্মলপক্স প্রতিরোধে তৈরি করা হয়েছিল।
সিডিসি বলছে, তাদের কাছে এসিএএম২০০০- এর ১০ কোটি ডোজ এবং জেওয়াইএনএনইওএস এর এক হাজার ডোজ মজুদ রয়েছে। এছাড়া স্মলপক্সের জন্য অনুমোদন দেয়া আরো দুটি ঔষধও মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ব্যবহার করা হবে বলে সিডিসি জানিয়েছে।
সূত্র : বাসস
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply