নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে তিনটি গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়েছেন। এর মধ্যে ৫৪টি পরিবারকে আশ্রয়ন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর ও সিলেট অংশের শেরপুর দিয়ে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে। পারকুল ও ফাদুল্লাপুর বাজার অংশে বাঁধ নিচু হওয়ার কারণে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। এতে গালিমপুর, পাহাড়পুর ও পারকুল গ্রামে পানি প্রবেশ করে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছেন।
এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন পরিবারগুলো। চুলা তলিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৪টি পরিবারকে স্থানীয় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি পরিবারগুলোকেও পূণর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহপাড়পুর, পারকুল, ফাদুল্লাপুর এলাকায় নদীর বাঁধ অনেক নিচু। যে কারণে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। তবে পানি যদি আর কিছু বাড়ে তাহলে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে।
এদিকে হবিগঞ্জর জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর-মাধবপুর এলাকায় অতিরিক্ত পানি আসায় নিপীড়িত মানুষের সার্বিক খোঁজ খবর নেয়া হয় ও তাদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য, ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন- জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৫০০ কেজি খাবার দেওয়া হয়েছে। গতকাল তাঁদের জন্য শুকনো খাবার (ডাল, চিড়া, মুড়ি, সয়াবিন তেল, চিনি, লবন, সুজি, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, মোমবাতি, দিয়াশলাই) প্রদান করা হয়।
আজ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ব্যতীত মানুষের জন্য আরও ১ হাজার কেজি খাদ্য সহায়তা বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে এবং তাঁদের স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য মেডিকেল টিম নিয়োজিত হবেন বলেও জানান তিনি।
এছাড়া সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ।
Leave a Reply