হবিগঞ্জ শহরের সওদাগর জামে মসজিদে ৬ মে শুক্রবার জুমার খুৎবায় মুফতি নুর মোহাম্মদ বলেছেন- প্রত্যেকটি অঙ্গের জবাবদিহি করতে হবে। প্রত্যেকটি অঙ্গের পৃথক পৃথক দাযিত্ব আছে। চোখের, হাতের, পায়ের, কানের এইভাবে প্রত্যেকটি অঙ্গের জন্য পৃথক পৃথক জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ চোখ দিয়েছেন, সেই চোখ দিয়ে কি করা হয়েছে, হাত দিয়ে কি করা হয়েছে, পা দিয়ে কি করা হয়েছে, সবকিছুর তিলতিল করে জবাব আদায় করা হবে। একই সাথে একেকটি মানুষকে দুনিয়ায় আল্লাহ অনেক নেয়ামত দিয়েছেন, সম্পদের নেয়ামত, সন্তানের নেয়ামত, স্বাস্থ্যে নেয়ামত ইত্যাদি। এসব নেয়ামতেরও জবাবদিহি করতে হবে।
জবাবদিহি ছাড়া কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বেহেশত সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করে বলেন- দুনিয়ায় মানুষের সম্পদের আফসোসের শেষ নাই। অথচ একজন সাধারণ বেহেশতীকে আল্লাহ দুনিয়ার দশগুন বড় আয়তনের বেহেশত দেবেন। দুনিয়ায় মানুষের সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষন থাকে প্রবল। বিপরীতে একজন বেহেশতীকে এতোসব সৌন্দর্য দিয়ে সন্তুষ্ট করা হবে যে, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে দুনিয়া চায় আল্লাহ তাকে প্রাপ্য অনুযায়ী দুনিয়া দিয়ে দেন।
আর যে আখেরাত চায় আল্লাহ তাকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী দুনিয়াও দেন আখেরাতও দেন। আমাদের উচিৎ দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়টিই চাওয়া। শুধু দুনিয়ার পিছনে ঘুরলে দুনিয়াও যাবে, আখেরাতও যাবে। মুফতি নুর মোহাম্মদ সূরা জিলজাল এর শেষ দুই আয়াত পাঠ করে খুৎবা শেষ করেন। উল্লেখ্য জুমার খুৎবার সময় সওদাগর জামে মসজিদে পরে আসা মুসল্লীদের অনেকেই আগে এসে বসা মুসল্লীদেরকে এক প্রকার লাথি মেরে মেরে সামনের কাতারে যাওয়ার দৃশ্য ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও বিরক্তিকর। এই তালিকায় ছিলেন ওই এলাকার মাতাব্বর শ্রেণীর মুসল্লী, সাংবাদিক, ব্যাবসায়ী এমনকি জুব্বা পড়া আলেম শ্রেনীর মানুষ পর্যন্ত। জুমার নামাজে পরে আসা এসব বিরক্তিকর মুসল্লীদের কারণে জুমার খুৎবা শুনায় ও বলায় মারাত্বক বিঘ্ন সৃষ্টি হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয় না।
এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ, মে ২০২২
০১৭১১৭৮২২৩২
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply