হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সানশাইন মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ছবি এডিট করে ফেসবুকে ভাইরাল করায় জাবেদ মিয়া নামের এক যুবককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ভোররাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক কে এম ফাউন্ডেশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি সানশাইন মডেল হাই স্কুলের পরিচালক এম শামছুদ্দিন মিয়ার আপন ভাগনা।
এর আগে সানশাইন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শারমিন আক্তার বাদী হয়ে একই উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের তিতারকোনা প্রকাশিত মামদনগর গ্রামের কদর আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ (২৮) কে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখতে পান যে আদিবা শাম্মী নামের একটি ফেসবুক আইডিতে আসামীর সাথে তার একটি এডিট করা ছবি প্রোপাইল পিক ব্যবহার করছে। ওই আইডিটিতে প্রধান শিক্ষিকার এডিট করা ছবি ব্যহবার করে প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করে পোষ্ট করে।
ওই পোষ্টটি ৯জনকে ট্যাগ করলে দ্রুতই লাইক কমেন্ট ও শেয়ারে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।এ নিয়ে স্বামী পরিবারের সদস্য ও বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমানের শিক্ষার্থীদের কাছে হেও প্রতিপন্ন হয়ে সামাজিকভাবে সুনাম ক্ষুন্ন হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসাবেও কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদী শারমিন আক্তার বলেন, আমার ছবি এডিট করে জাবেদ অন্য একটি আইডিতে লাগিয়ে আমার মান সম্মান নস্ট করতে মাথা বেঁধে লেগেছে। আমি আমার সন্তানের সামনে মুখ দেখাতে পারছি না।
আমি সুষ্টু বিচার চাই। এ ঘটনার সাথে আরো দু তিনজন জড়িত রয়েছেন বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তিনি শিক্ষক বাতায়নে সেরা শিক্ষক বিজয়ীও হয়েছেন, তার প্রতিষ্টানের কেউ জড়িত থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ করছেন তিনি। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খায়ের বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকার প্রমান পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply