নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের তাড়ালিয়া গ্রামের শুভ্র গোপ নামে এক ব্যক্তি তার পরিবারের জানমালের নিরাপত্তার জন্য হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। শুভ্র গোপ ওই গ্রামের সুধীর গোপের ছেলে। ১৩ এপ্রিল বুধবার দায়েরকৃত আবেদনে রামলোহ গ্রামের হোসাইন আহমেদ লালন, জহুর আলী, রফিক আলী, শফিক আলী, দরগাপাড়া গ্রামের জুবায়ের আহমেদ জুবু, খরকি গ্রামের তাজ উদ্দিন, টিয়া মিয়া, মুকিদ মিয়া, সুহেল মিয়া, মিলাদ মিয়া, রুহেল মিয়াসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করেন। জেলা প্রশাসকের কাছে এ আবেদন করেন বলে জানান শুভ্র গোপ। এর অনুলিপি দেয়া হয় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নবীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে।
আবেদনের তিনি উল্লেখ করেন, তার প্রতিপক্ষরা তাদের জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন। আর এতে ইন্ধন দিচ্ছেন গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল ও ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জুবায়ের আহমেদ জুবু। ২০২০ সালে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার সময় বাঁধা দিলে শুভ্র গোপের পরিবারের ৩ জনকে গুরুতর জখম করা হয়। এনিয়ে একজনকে গ্রেফতার করলেও চেয়ারম্যান মুকুল সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করবেন বলে হোসাইন আহমেদকে লালনকে মুক্ত করে আনেন। কিন্তু ঘটনার ৬ মাস পর চেয়ারম্যান বিষযটি শেষ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
ঐ জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জোরপুর্বক গত ১৭ মার্চ মধ্যরাতে জহুর ও তার লোকজন মাটি ফেলে রাস্তা নির্মান করে। এ সময় শুভ্র গোপ ও তাদের লোকজন বাধা দিলে জহুর আলীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শুভ্র গোপের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। বিষয়টি নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে এরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে গেলে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করার দায়িত্ব নেন নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ। তারপর দুইবার সালিশ অনুষ্ঠিত হলেও অদ্যাবধি তা শেষ হয়নি। উপরোন্ত প্রতিপক্ষ লোকজন বিভিন্ন ভাবে শুভ্র গোপের পরিবারকে নিপীড়ন করা হচ্ছে। ফলে সে ও তার পরিবার ভয়ের মধ্যে চরমে নিরাপত্তা হীনতায় সময় কাটাচ্ছেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply