1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
শাল্লায় বাঘার বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ, তলিয়ে যাচ্ছে হাজার একর জমি - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

শাল্লায় বাঘার বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ, তলিয়ে যাচ্ছে হাজার একর জমি

শাল্লা(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে
শাল্লায় বাঘার বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ, তলিয়ে যাচ্ছে হাজার একর জমি
শাল্লায় বাঘার বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ, তলিয়ে যাচ্ছে হাজার একর জমি। ছবি: বাংলা কণ্ঠ
শাল্লা উপজেলার বাঘার হাওরে বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করেছে। কৃষকদের চোখের সামনেই ভেঁসে যাচ্ছে হাজার একর ফসলী জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতার বাহিরে হওয়ায় এই বাঁধটিতে দেওয়া হয়নি কোনো প্রকল্প। শুরু থেকেই বাঘার হাওরে প্রকল্প দেয়ার দাবী জানালেও পাউবো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সোমবার বিকেল ৩টায় নদীর পানি উপচে গিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। নিমিষেই তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকদের ফসল। নিজেদের ফসল তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও কাঁচি হাতে নেমেছে ধান কাটতে।
স্থানীয়রা সুত্রে জানা যায়, বাঘার বাঁধ এলাকায় প্রায় এক হাজার একর জমি রয়েছে। শুরু থেকেই এই এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবী জানানো হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রকল্প না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জায়গায় প্রকল্প দিয়ে সরকারের টাকা লোপাট করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) দাবী করছে সার্ভে টিমের ম্যাজারমেন্ট অনুযায়ী প্রকল্প দেয়া হয়েছে। যার ফলেই এই হাওরের বাঁধটি আওতার বাহিরে।
দামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ১০ কেয়ার জমি করেছি। আর এই হাওরেই সকল জমি। আমার চোখের সামনেই সবকিছু ভেঁসে যাচ্ছে। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে চলবো এই চিন্তাই করছি।
কৃষক আবু বক্কর বলেন, ৫০ কেয়ার জমির মাঝে ডুবে যাওয়া হাওরেই আমার ৩০ কেয়ার জমি। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এই এলাকায় হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্প দেয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এই ফসল ডুবির দায়ভার পানি উন্নয়ন বোর্ডকেই নিতে হবে বলে তিনি জানান।
পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্র জয়ন্ত সরকার বলেন, ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর বাবার কান্না দেখে নিজেই কাঁচি হাতে ধান কাটতে আসছি। কিন্ত ধান এখনো পাকেনি। এরপরও তলিয়ে যাওয়ার চেয়ে কিছু ধান ঘরে নিতে পারলে দুয়েক দিনের খাবার হবে।
শাল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী(এসও) আব্দুল কাইয়ুৃম বলেন, আমাদের হাওর রক্ষা বাঁধ এখনো ভাঙ্গেনি। যেদিকে বাঘার হাওরে পানি প্রবেশ করেছে এটা আমাদের তালিকার বাহিরে। আর আমাদের আওতায় যে বাঁধগুলো রয়েছে সর্বক্ষন মনিটরিং করছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বাঁধ শাল্লায় নেই।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD