নবীগঞ্জ মালিকানা জমি দিয়ে রাস্তা নির্মানে বাধা দেওয়ায় সংখ্যালঘু লোকজনের বাড়ীঘর ও মন্দিরে হামলা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে রামলোহ গ্রামের জহুর আলী ও তার পুত্র হোসাইন আহমদ লালনসহ ২৩ জনকে আসামী করে তারালিয়া গ্রামের শুভ্র গোপ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরকারীরা যেকোন সময় আবারো হামলার আশংকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রর জানাযায়,নবীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং গজনাইপুর ইউনিয়নের তারালিয়া ওরেফ টাইল্লা গ্রামের সুধীর গোপের মালিকানাধীন কামারগাও মৌজার এস এ দাগ নং ৬৮৫,৬৮৬,৬৮৬৭ রকম জমির উপর দিয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জোরপুর্বক রাস্তা নির্মান করার জন্য চেষ্টা চালায় পাশ্ববর্তী রামলোহ গ্রামের জহুর আলী ও তার পুত্র হোসাইন আহমদ লালন,শওকত আলীর পুত্র রফিক আলী,সফিক আলী,জহুর আলীর স্ত্রী ছৈদুন্নেছা গংরা।
এর প্রেক্ষিতে ভুমির স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৫৫০/২০২০ অভিযোগ দায়ের করেন সুধীর গোপের পুত্র শুভ্র গোপ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে ঐ ভুমির স্থিতিবস্থা বজায় রাখাসহ শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আদালকে নির্দেশ অমান্য করে বিরোধীয় ভুমিতে পুনরায় রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করার অপরাধে ২০ মার্চ ২০২১ইং তারিখে হোসাইন আহমদ লালনকে আটক করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পায় লালন।
আদালতের মামলা নিস্পত্তি না হওয়ার পরও ঐ ভুমি দিয়ে রাস্তা নির্মানের পায়তারা করে জহুর আলী ও তার পুত্র হোসাইন আহমদ লালন গংরা। এরই জের ধরে গত ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে ঐ জমিতে রাস্তা নির্মানের জন্য তারা প্রায় শতাধিক শ্রমিক নিয়ে মাটিকাটা শুরু। খবর পেয়ে সুধীর গোপ ও তার পুত্র শুভ্র গোপ অন্যান্য লোকজন নিয়ে তাদেরকে মাটি কাটতে নিষেধ করলে জহুর আলী ও লালন গংরা দেশীয় অস্ত্রসহ তাদরকে ধাওয়া করে।
সুধীর গোপের লোকজন প্রানভয়ে দৌড়ে বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষের লোকজন সেখানে গিয়ে তাদের ঘরে ও দেবতামন্দিরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় তাদের হামলায় সুধীর গোপ,তার স্ত্রী সীতা রানী গোপ,পুত্র শূভ্র গোপ,সুচিত্র গোপ,সুবিনয় গোপসহ অন্যান্য লোকজন আহত হয়। তাদরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সুধীর গোপের পুত্র শূভ্র গোপ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায়, জহুর আলী,তার পুত্র হোসাইন আহমদ লালন,শওকত আলীর পুত্র রফিক আলী,সফিক আলীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযাগ দায়ের করেন।
অভযোগকারী শুভ্র গোপ জানায়,লালন ও তার পিতা জহুর আলীসহ তাদের লোকজন আমাদেরকে দেশ ত্যাগের হুমকি দেয়। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এ ব্যাপারে,নবীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এস আই মৃদুল কান্তি ভৌমিক বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply