
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা লিয়াকত আলী মন্ডলের ছেলে ফরিদ আহমেদ গত ১৩ বছর আগে আওয়ামী লীগের কেডারদের নির্মম অন্যায়, অত্যাচারের শিকার হয়ে তার জীবনের চরম হুমকির মুখে পড়ার কারণে সে বিদেশে পাড়ি জমায়।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করছেন, বিদেশের মাটিতে থেকে এলাকার মানুষের সুখে-দুংখে, বিপদে-আপদে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর তার গ্রামের সাধারণ নিরিহ মানুষের উপর অমানবিক জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল অতিতে আওয়ামী লীগের সাথে যোগ দিয়ে থাকা প্রভাবশালী বিএনপি নেতা।
ফরিদ আহমেদ যখন এই অন্যায়, অত্যাচার, চাঁদা-লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ঠিক তখনই স্বার্থরেসী একটি মহল তাকে দেশে প্রবেশ না করার এবং দেশের মাটিতে পা রাখালে তাকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকি দাতা ব্যক্তিরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা।
জানা যায়, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো: আবুল হোসেন খাঁন, পাংশা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম, পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতারা তার বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়া এবং হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছেন।
এই ব্যক্তিরা কেবল রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালীই নন, তারা বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে যে কথা বলে তাদেরকেই আতঙ্কিত করে তোলে। ফরিদ আহমেদও তাদের মধ্যে একজন। ফরিদ আহমেদ প্রকাশ্যে তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের বিরোধীতা ও প্রতিবাদ করার কারণে তার এবং তার পরিবারের জীবন হুমকির মুখে। তার পরিবারের সদস্যরা তাদের ভয়ে, আতঙ্কে নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য এলাকায় বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে ফরিদ আহমেদের স্ত্রী আছমা আক্তার বলেন, হুমকি দেওয়া ব্যাক্তিরা বিএনপির অন্য আরেকটি গ্রুপ যারা আওয়ামী লীগের সময়ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিলে অনৈতিক কার্য়কালাপের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিল।
নাম বলতে অনিচ্ছুক এলাকার একবাসীর বলেন, অপকর্ম কারীদের বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করার সাহস পায় না এবং সবাই তাদের অত্যাচার সহ্য করে। এবিষয়ে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন বলেন,এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আনইগত ব্যাবস্থা নেওয়ার হবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply