নবীগঞ্জে অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন তালুকদারের সংবাদ সম্মেলন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের নিয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক শাহিন তালুকদার সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান বিগত ১৪/১০/২৪ইং তারিখে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে তার ছোট ভাই রুহিন মিয়া তালুকদার টিসিবির ডিলার বারীন্দ্র দাশের নামে একটি ডিলারশীপ থাকাবস্থায় অন্যায়ভাবে আরও ২টি ডিলার এর মালামাল নিয়ম বহির্ভুতভাবে পরিচালনা করার কারণে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন মেসার্স সুরমা ট্রেডার্স এর মালিক হিমাংশু শেখর রায় মৃত্যু বরণ করলেও তার জায়গায় নতুন কোন ডিলার নিয়োগ না দেওয়ার পরও ঐ ডিলারের মালামাল বারীন্দ্র দাশই বিক্রি করে আসছে।
মেসার্স গালিব ট্রেডার্স এর মালিক আব্দুল হাদী যুক্তরাজ্য চলে যাওয়ার পরও একইভাবে বারীন্দ্র দাশই তার মালামালও বিক্রি করে আসছে। এই মারাত্মক অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার ছোট ভাই রুহিন মিয়া তালুকদার অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, আওয়ামীলীগ নেতা বারীন্দ্র দাশ সিন্ডিকেট এর পক্ষ নিয়ে সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য চরগাঁও গ্রামের মশিউর রহমান গত ২২/১০/২০২৪ইং তারিখে আমাকে ফোন করে হুমকী-দামকী দেয় যে, তোমাকে আমি দেখে নিব- তুমি কত বড় নেতা।
এই বিষয়ে ঐদিনই চরগাঁও গ্রামের মুরুব্বীগণকে বিষয়টি অবহিত করি। তারা বিষয়টি দেখে দিবেন বলে আমাকে জানান। কিন্তু সালিশ চলমান থাকাবস্থায় গত ২৪/১০/২০২৪ইং তারিখ সন্ধ্যায় সময় আমার বাসার সামনে একটি চা স্টলে আমি চা খাওয়া অবস্থায় চরগাঁও গ্রামের মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একই গ্রামের শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক মিলন চৌধুরী ও ছাত্রলীগ কর্মী তারেক, শিপন সহ ১০/১৫ জন লোক দেশী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময়ে দোকানের ভেতর ঢুকে আমার উপর আক্রমণ করে আমাকে গুরুত্বর আহত করে ও দোকান ভাংচুর এবং নগদ টাকা লুটপাট করে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, খালেদ আহমদ, জাকির আহমেদ গংদের উপর বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা চালানোরও অভিযোগ আছে।
ঘটনার দিন ২৪/১০/২০২৪ইং খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ও স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করেন। প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply