জগন্নাথপুরের ইনাতগঞ্জ বাজারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নবীগঞ্জের হাবিবুর রহমান (৫০)কে গ্রেফতার করেছে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। সে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বানিউন গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই আবু বক্কর নিজ বাড়ি থেকে হাবিবকে গ্রেফতার করেন।
জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে মোঃ ফরিদ আহমদ ও একই ইউনিয়নের বানিউন গ্রামের মোঃ আমীর উদ্দিনের ছেলে জুবায়েল আহমদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল।
উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৮ আগষ্ট রাত ৮ টায় জুয়েল আহমেদ রুহেল ও তার ছোট ভাই জুবায়েল আহমেদ নবীগঞ্জ থানার পাশ্ববর্তী জগন্নাথপুর থানার (রানীগঞ্জ রোডস্থ) স্থানীয় ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষ ফরিদ আহমদের নেতৃত্বে, হাবিবুর রহমান ও সইবুর সহ তার লোকজন দেশীয় দাড়ালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুয়েল আহমদ রুহেল ও জুবায়েল আহমদের উপর প্রকাশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় জুয়েল (২৮) ও জুবায়েল (২৪) পাশ্ববর্তী জুমন স্টোর নামক একটি দোকানে ঢুকলে সেখানে ঢুকেও ফিল্মি স্টাইলে তাদেরকে রামদা ও ছুরিকাঘাত করে মূহুর্তেই পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েল ও জুবায়েলকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে পরদিন জুবায়েলকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় আহতদের ভগ্নিপতি মোঃ রিপন আহমদ বাদী হয়ে ফরিদ আহমদকে প্রধান আসামী করে ৪ জন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিবাদীরা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ২১ দিনের আগাম জামিন নিয়ে এসে মেয়াদের ভিতরে নিম্ন আদালতে হাজির হননি। পরে ফরিদ আহমদ,হাবিবুর রহমান ও সইবুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ প্রদান করে নবীগঞ্জ থানাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই আবু বক্ক হাবিবকে গ্রেফতার করেন।
এদিকে শনিবার রাতে পৃথক অভিযানে এসআই আবু বকর ইনাতগঞ্জের উমরপুর গ্রামের মৃত মোতালিবের ছেলে সাজাপ্রাপ্ত তপন মিয়া(৩২) ও শ্যামলি পশ্চিম পাড়া গ্রামের বশির মিয়ার পুত্র জাহান (২৮) কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মাসুক আলী।
Leave a Reply