সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাবেক এমপি পাপিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জনকেআসামী করে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন দ্রুত বিচার আদালতের পেশকার মিজানুর রহমান।
মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন, কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল-আমিন বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান বাবু।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহা সমাবেশ সফল করার লক্ষে গত ১৮ নভেম্বর কামারখন্দে প্রচারপত্র (লিফলেট) বিতরন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রামদা, ছুরি, হকস্টিক, ইট, পাথর, লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।
হামলার সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ ও সাবেক সংসদ সদস্য পাপিয়াকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। তারা কৌশলে সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে আসামীদের এলোপাথারি হামলা সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
হামলায় ৫টি মোটরসাইকেল, একটি প্রাডো গাড়ী ভাংচুর করা হয়। এতে প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের ২০০২ (সংশোধনী/২০১৪) এর ৪ ও ৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে একই ঘটনায় বিএনপির ২৬ নেতার নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৫০-২০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম রেজা।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply