নবীগঞ্জে লাইসেন্স বিহীন ব্যাটারী চালিত অটো-রিক্সার (টমটম) কারণে পৌর এলাকার নাগরিকদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বৈদ্যুতিক মোটর চালিত অবৈধ অটো-রিক্সাগুলো শহরের যত্রতত্র পার্কিং ও শিশুসহ অদক্ষ চালক দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় ঘটছে দূর্ঘটনা। এতকিছুর পরেও আইনের কোন তোয়াক্কাও করছে না টমটম চালকরা।
উপজেলা শহর নবীগঞ্জ টমটমের অব্যবস্থাপনা যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে সচেতন নাগরিকরা। ফলে সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে খোদ ট্রাফিক বিভাগও অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত রবিবার, মঙ্গলবার ও শুক্রবার নবীগঞ্জ পৌর শহরে সাপ্তাহিক পশুর হাটের দিন। সদর ও পৌর এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের টমটমের আগমন ও নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পরিচালনায় তীব্র যানজটের ফলে অন্যান্য পরিবহণের পথচারী ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মমূখী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের সময় ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্তি মাত্রায়।
অটো-রিক্সার বেশির ভাগ চালক অপ্রশিক্ষিত হওয়ার ফলে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। পঙ্গুত্ব বরণ করছে সাধারণ পথচারী, চালক ও শিশুরা।
বৈদ্যুতিকভাবে চার্জ করার ফলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ নতুন কিছু নয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নবীগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়াও অলিগলিও ব্যাটারী চালিত অটো-রিক্সার দখলে। এদিকে রিক্সাগুলোতে অবৈধ এলইডি লাইট, নিষিদ্ধ ঘোষিত উচ্চ মাত্রার হাইড্রোলিক হর্ণের কারণে পরিবেশ নষ্টসহ সাধারণ মানুষের নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় এক হাজার অটো-রিক্সা চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। কিন্তু বাস্তবে এর কয়েক গুণেরও বেশি টমটম পৌর এলাকায় চলাচল করছে। অতিরিক্ত মাত্রায় অবৈধ অটো-রিক্সা বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব যানবাহনের যত্রতত্র পার্কিং ও চালকদের বেপোরোয়া গতি ও শৃঙ্খলায় কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ট্রাফিক বিভাগও।
নির্দিষ্ট টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা, যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ, সীমিত গতি, সুদক্ষ চালক ও বয়সের সীমাদ্ধতা করে দেবারও দরকার আছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ব্যাপক আলোচনা হলেও এক পেরিয়ে গেলে এ ব্যাপারে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে করে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা অসুন্তোষ
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply