1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
আল্লাহর হক নষ্টকারীরাই প্রকৃত ফিৎনাবাজ ॥ জুমার খুৎবায় শায়েখ আব্দুস ছুবুর চৌধুরী - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন

আল্লাহর হক নষ্টকারীরাই প্রকৃত ফিৎনাবাজ ॥ জুমার খুৎবায় শায়েখ আব্দুস ছুবুর চৌধুরী

এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ
  • শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে
সুখে দুঃখে আল্লাহর উপর ভরসাকারীদেরকে নিয়ামত বাড়িয়ে দেয়া হয় : মাওলানা মোশাররফ হোসেন

হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী দারুল হুদা মসজিদে জুমার খুৎবায় শায়েখ আব্দুস ছুবুর চৌধুরী বলেছেন- ফিৎনায় সমাজ নিমজ্জিত হয়ে আছে। আমরা ইবাদত পালনের সিস্টেমকে ফিৎনা বলি। অথচ ফিৎনা পবিত্র কোরআন নির্দেশিত। যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করবে, যারা কুফুরী করবে, যারা জুুলুমবাজ, নির্যাতনকারী তারাই মূলত ফিৎনাকারী।

আল্লাহর হক নষ্টকারীরা প্রকৃত ফিৎনাবাজ। যারা আল্লাহর হক নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে ফরজ করা হয়েছে। আমরা বান্দার হককে আল্লাহর হকের চেয়ে বড় মনে করি। তিনি বলেন- একজন শায়েখ ক্লাশ নেয়ার সময় ছাত্রদের বললেন- অমুক জায়গায় একটা কবর স্থানকে উচু করা হয়েছে, সেখানে মানুষ মানত করছে, ভক্তি দিচ্ছে, টাকা পয়সা দিচ্ছে।

ছাত্ররা বললেন- এটাতো স্বাভাবিক, প্রায়ই তো আমরা এসব দেখি। আরেকদিন শায়েখ ক্লাশ নেয়ার সময় বললেন- একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে আহত করে ফেলেছে। ছাত্ররা বললেন- কোথায় এমন ঘটনা ঘটেছে, এর একটা বিহিত করা দরকার। শায়েখ বললেন- আগের দিন একটা কবরকে উচু করার কাহিনী বললাম, আর তোমরা বললে এটাতো স্বাভাবিক।

অথচ কবর স্থান উচু করা, কবরস্থানকে লক্ষ্য করে মানত করা, শিরনী করা, টাকা পয়সা দেয়া সেটা হচ্ছে আল্লাহর হকের উপর আঘাত, আল্লাহর হক নষ্ট করার সামিল, সেটা তোমরা সহ্য করে নিলে, এখন একজন বান্দীর হক নষ্ট করার কথা বললাম, তোমরা তাতে প্রতিক্রিয়া দেখালে। কবলের গোলামী, মাজারের গোলামী, মাছের গোলামী, গাছের গোলামী, পাথরের গোলামী এসবই হচ্ছে ফিৎনা। ফিৎনা হচ্ছে হত্যার চেয়ে জঘন্য।

এই ফিৎনা হচ্ছে আল্লাহ সাথে কাউকে শরিক করা, আল্লাহর সাথে কুফুরী করা। বর্তমানে ফিৎনা এমনভাবে সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে, সত্য এবং মিথ্যাকে প্রার্থক্য করা বড় কঠিন হয়ে পড়েছে। ফিৎনার কথা বললে, বলা হয় বেশির ভাগ মানুষ এটা করছে, হুজুরদের কেউ কেউ এটা করছেন, তাহলে এসব আমল ফিৎনা হয় কিভাবে? এলাকা, সমাজ, বেশি মানুষকে দলিল মনে করাও আরেকধরনের ফিৎনা।

আল্লাহ পাককে নিয়ে ফিৎনা ছড়ানো হচ্ছে, রাসুল (সা)কে নিয়েও ফিৎনা ছড়ানো হচ্ছে। হযরত শাহজালাল (র) ও হযরত শাহ পরান (র) এর কবরস্থানগুলোতে গিয়ে কি হয় দেখে আসুন। তারা কি মদ গাজার আসর বসানোর জন্য এসেছিলেন? পীর ইজম ইসলামে নেই। তিনি সকলকে ফিৎনা চেনার এবং ফিৎনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহবান জানান।

এম এ মজিদ, আইনজীবী ও সংবাদকর্মী
হবিগঞ্জ ২১ অক্টোবর ২০২২
০১৭১১-৭৮২২৩২

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD