জিংক চালের ভাত খেলে, পুষ্টি মেধা উভয় মেলে, জিংক চালের ভাত খাই জিংকের চাহিদা মেটাই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জিংক ধান বীজ বাজারজাত করণে সিরাজগঞ্জের বীজ বিক্রেতাদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ডাব্লিউ এফ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে জিংক ধানের বীজ বিক্রেতাদের সাথে বাজারজাতকরণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে হারভেষ্টপ্লাস এর সিবিসি প্রকল্পের সহায়তায় এবং ভোলান্টারী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এর আয়োজনে জিংক ধানের বীজ বিক্রেতাদের সাথে বাজারজাতকরণ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএস এর নির্বাহী পরিচালক মোছাঃ ফকরুনাহার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।
জিংক ধান বীজ বাজারজাতকরণে সিরাজগঞ্জের বীজডিলারদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মোঃ হাসান ইমাম।তিনি বলেন, প্রথিবীতে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ অপর্যাপ্ত জিংকের অভাবে ভূগছে।সারাবিশ্বে ৮২ শতাংশ গর্ভবতী মহিলা পর্যাপ্ত জিংক গ্রহন করতে পারে না।যার ফলে নবজাতকের ভুমিষ্টের সময় মায়েরা স্বাস্থ্য ঝুকিতে পরে এবং নবজাতক শিশুরা বিকলঙ্গ হয়।
সেজন্য জিংক ধানের মানসম্মত বীজ বিএডিসি ডিলার সহ অন্যান্যদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সহজলভ্য করার তাগিদ দেন। কারন জিংক সমৃদ্ধ চালের ভাত খেলে মানুষের ক্ষুধামন্দা দুর হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মেধা বিকাশ হয়।জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলে মেয়েরা খাটো হয় না। শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হয়।দৈনিক শিশুদের ৩-৫ ও মহিলাদের ৮-৯ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন। তাই সকল কৃষকদের জিংক ধানের চাষ করে দেশের মানুষের জিংক ঘাটতি মেটাতে অনবদ্য ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা বাজারজাত করন কর্মকর্তা আয়ুব আলী, সিবিসি হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ রুহুল কুদ্দুস প্রমূখ।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply