1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
নারী সম্পর্কে অপবাদকারী মুনাফিকরা জাহান্নামী হবে ॥ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০২ অপরাহ্ন

নারী সম্পর্কে অপবাদকারী মুনাফিকরা জাহান্নামী হবে ॥ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী

এম এ মজিদ
  • শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে
মানুষ নিজের সমালোচনায় গাফেল অন্যের সমালোচনায় পারদর্শী : জুমার খুৎবায় মুফতি আব্দুল মজিদ

হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর জামে মসজিদে ১৯ আগষ্ট শুক্রবার জুমার খুৎবায় মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী বলেছেন- কোনো নারী সম্পর্কে অপবাদ দেয়া যাবে না। অপবাদ হচ্ছে যা সত্য না তা বলে বেড়ানো।

কোনো নারীকে আপনি বললেন- সে খারাপ চরিত্রবান। এর স্বপক্ষে আপনাকে ৪ জন পুরুষ স্বাক্ষী হাজির করতে হবে। যদি আপনি ৪জন পুরুষ স্বাক্ষী হাজির করতে না পারেন, তাহলে উচিৎ হল- আপনাকে ৮০টি বেত্রাঘাত করা। কোনো ধরনের স্বাক্ষী নেই, কেউ দেখেনি, অথচ শুনে শুনে আমরা যে কোনো নারীকে চরিত্রহীন বলছি।

এই যে আপনি কোনো নারীকে চরিত্রহীন বললেন, সে যদি চরিত্রহীন না হয় তাহলে তার গুনাহের বুঝা আপনার আমলনামায় এসে জমা হবে, একই সাথে আপনার নেক আমল কেটে দেয়া হবে। দেখা গেল, একজন ব্যক্তি নামাজ পড়েছে, রোযা রেখেছে, হজ্জ করেছে, জাকাতও দিয়েছে, কিন্তু ওই ব্যক্তি জাহান্নামী হবে, যদি তার মধ্যে এ ধরনের ছুগলকুরী অভ্যাস থাকে, যে কোনো মানুষ সম্পর্কে অপবাদ প্রদানের তার অভ্যাস থাকে। আমাদের সমাজে এমন অভ্যাসের মানুষের অভাব নেই, বরং সংখ্যায় তারা বেশিই হবে। আমলের হেফাজত করা এখন সময়ের দাবী।

যা আমল করলাম, তা হেফাজত করলাম না, গালিগালাজ, পরনিন্দা, পরচর্চা, গীবত, অপবাদ ইত্যাদি বলে বেড়ানোর মাধ্যমে আমরা আমাদের আমলকে বরবাদ করে দিলাম। রেজাল্ট হল- জাহান্নাম। মাওলানা আজহারী সূরা আন নূরের ১১ হতে ২০ নং আয়াত এর তরজমা করে বলেন-এখনকার জামানায় যে অপবাদ রয়েছে তা ১৪শ বছর আগেও ছিল, এমনকি রাসুল (সা) এর স্ত্রী মা আয়েশা (রা) সম্পর্কেও অপবাদ দেয়া হয়েছে। মুনাফিকদের সরদার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই হযরত আয়েশা (রা) সম্পর্কে অপবাদ দিয়েছে। সেই অপবাদে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত ৩জন বদরী সাহাবী।

তাদের মধ্যে হযরত আয়েশা (রা) এর আপন ফুফাতো ভাইও ছিলেন। মিথ্যা অপবাদে যখন হযরত আয়েশা (রা) জর্জরিত তখন স্বয়ং আল্লাহ হযরত আয়েশা (রা) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট প্রদান করেন পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল করে। ৩জন সাহাবী তাদের ভুল বুঝতে পারেন, তবে তাদেরকে তাৎক্ষনিক ক্ষমা করে দেয়া হয়নি। তাদেরকে রাসুল (সা) এর নির্দেশে ৮০টি করে বেত্রাঘাত করে ক্ষমা করে দেয়া হয়। কিন্তু মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই কে ক্ষমা করে দেয়া হয়নি। তার শাস্তি স্বয়ং আল্লাহ প্রদান করছেন এবং করবেন। প্রায় ৪৮ মিনিটের জুমার খুৎবায় তিনি সকলকে গিবত পরিহার করে নিজেদের আমলের হেফাজত করার আহবান জানান।

লেখকঃ আইনজীবি ও সাংবাদিক

হবিগঞ্জ ১৯ আগষ্ট ২০২২
০১৭১১-৭৮২২৩২

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD