নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের বড়চর গ্রামের কবরস্থান রকম সরকারি জায়গা নিয়ে দুপক্ষের দীর্ঘ কয়েক যুগের বিরোধের অবসান হয়েছে। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি উত্তম কুমার দাশ একদল পুলিশ সহকারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরকারি খাস খতিয়ানের ১৮৩২ দাগের কবরস্থান রকম ৭৬ শতক ভূমি জায়গা উদ্ধার করে সীমানা নির্ধারণ পূর্বক লাল নিশান টানিয়ে দেন।
উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভবিষ্যতে উক্ত কবরস্থানে গ্রামের যেকোনো মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে বাঁধা আপত্তি থাকবেনা বলে নির্দেশ দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা হওয়ায় গ্রামবাসী মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানিউমদা ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান, দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সামছুদ্দিন খান, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এম এ মুহিত, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু, , সাবেক সহ-সভাপতি এম মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক ছনি চৌধুরী, ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান সহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
জানা যায়- ২০২১ইং সালের ১০ অক্টোবর বড়চর গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ লোকমান মিয়া, শাহ্ খোয়াজ আলী, শাহ্ তোফাজ্জল হোসেন, শাহ্ জাহেদ আলী উক্ত সরকারি জায়গা উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- একই গ্রামের শাহ্ আব্দুল মতলিবের পুত্র শাহ্ আবু সুফি সহ তাদের লোকজন কর্তৃক সরকারী খাস খতিয়ানে অবস্থিত গ্রামের পঞ্চায়েতী কবরস্থান রকম ভূমি বিবাদীরা দখল করে পুরাতন গাছ কর্তন করে বিক্রি করে এবং এক্সেভেটার দিয়ে পুরাতন কবর উঠিয়ে জমি তৈরী করে নতুন চারা গাছ রোপন করেছেন এবং বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান করে কবরস্থান দখল করে আছেন। গ্রামের কেউ মারা গেলে ওই কবরস্থানে দাফন করতেও বাধা দেন দখলবাজরা।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিরোধীয় জায়গা উদ্ধার করে দখল উচ্ছেদ কওে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এই পবিত্র কবরস্থানে ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কারো লাশ দাফনে কোনো ধরনের বাধা বিপত্তি দিলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করা হয়। দীর্ঘ দিনের বিরোধীয় কবরস্থান উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসনকে গ্রামবাসী ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply