যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি’র চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পবিত্র ঈদুল ফিতরের (রোজার ঈদ) পরপরই দেশে ফিরতে পারেন। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা তুলনামূলকভাবে এখন অনেকটা ভালো। পরিবারিক আবহে মানসিকভাবেও তিনি প্রশান্তি অনুভবের পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এম এ মালেক লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশী সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমাদের নেত্রী, আমাদের মা, মাদার অব ডেমোক্রেসি এখন অনেক ভালো আছেন। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। উনি দেশবাসীর দোয়ায় আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। কারণ, উনি তার বড় ছেলে তারেক রহমান (বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) ও পুত্রবধূ ডা: জুবাইদা রহমানের বাসায় নাতনীদের সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। তারা সবাই উনার পাশে আছেন।’
‘আমরা যুক্তরাজ্য বিএনপির টিম উনার পাশে আছি’ উল্লেখ করে এম এ মালেক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ উনি মেন্টালি খুব রিলাক্স। আমরা উনাকে অনুরোধ করেছি, আমাদের সঙ্গে অন্তত এই ঈদটা করে যাওয়ার জন্য। আমরা আশা করি, উনি যদি আমাদের কথা রাখেন তাহলে ঈদের পর-পরেই বাংলাদেশে যাবেন। উনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন।’
এ সময় তিনি দৃঢ়চিত্তে বলেন, ‘শেখ হাসিনাই উনাকে স্লো পয়জনিং দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি। হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। হাসিনা যখন লন্ডনে আসেন তখন তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার। ‘আল্লাহ বলেছেন, এর চেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী আমি খোদ আল্লাহ।’ আল্লাহর পরিকল্পনায় ‘তার (হাসিনার) পতন হয়েছে, আর উত্থান হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার’।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে দলীয় নেত্রীর সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতাদের কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা হয়নি উল্লেখ করে এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কোনো কথাবার্তা বলবও না। কারণ, রাজনীতিতে উনার অনেক সোর্স রয়েছে, এ ব্যাপারে উনি অনেক ব্রিফ পান। তাছাড়া, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের আপামর জনতার প্রতি তার দৃষ্টি সবসময়ই সজাগ রয়েছে।’
সূত্র : বাসস
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply