কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার ফাওতলী গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা সুমন হোসেন (২৭) এর দোকানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (০৫ আগস্ট) রাত ১২টায় এই হামলা হয়।
হামলাটি লাকসাম উপজেলা জাতীয়তাবাদী বিএনপি ও জামাত নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে হয়েছে। সুমন হোসেনের বাড়ি উপজেলার ফাওতলী গ্রামে। তিনি আজগরা কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়নের জয়েন সেক্রেটারি ছিলেন। তার পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগের সমর্থক। তিনি বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন কেউ জানেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ০৫ আগস্ট দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের সাথে সাথেই দেশের পরিণতি পুরো পাল্টে যায়।দেশের সকল আওয়ামীলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ- স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দদের বাড়িতে-ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে বিএনপির জামাতের লোকজন।
সারাদেশের ন্যায় ফাওতলী গ্রামেও শুরু হয় হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট। মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) আনুমানিক দুপুর আড়াইটায় নজরুল আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিটু ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে।এদিন রাতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমনের দোকানে দেশীয় অস্ত্রশস্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির ও জামাত নেতারাকর্মীর একদল সন্ত্রাসীরা হামলা করে।
সন্ত্রাসীরা সুমনকে না পেয়ে দোকানের দরজা-জানালা ভাঙচুর, লুটপাট ও তাণ্ডব চালায়। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সুমনের পিতা রফিকুল বলেন, প্রায় ১০০/১৩০ জন লোক আমাদের দোকানের দরজা ভেংগে প্রবেশ করে টাকা পয়সা সব লুটপাট করে নিয়ে যায় ।এতে আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।আমার ছেলে দীর্ঘদিন থেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত।
আমার পরিবারের সকলেই আওয়ামীলীগ সমর্থক।আমার ছেলের রাজনৈতিক জীবনে কখনোই কারো সাথে খারাপ আচরণ করেনি। ছেলে থাকা অবস্থায় বিএনপি ও জামাতের সন্ত্রাসীরা আমার দোকানে হামলা করছে।
কি অপরাধ আমাদের, রাজনীতি করা কি অপরাধ। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই। আমার পরিবারের প্রাণনাশের শঙ্কা রয়েছে।তাই আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছি।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply