ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছে। সকাল নয়টা থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আরামনগর বাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রায় দুই ঘন্টা জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়ক অবরোধ করে চলে এই বিক্ষোভ। এতে সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিক্ষোভ করছেন বিক্ষোভকারীরা। দুপুরে সায়েন্স ল্যাব মোড়ের পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ভাঙা লোহালক্কড় একজনকে রিকশায় করে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। সায়েন্স ল্যাব হয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। আশপাশ এলাকায় পুলিশের অবস্থান দেখা যায়নি। ওই এলাকার সড়ক বিভাজক ভাঙচুর করা হয়েছে। সড়কে ইটের ভাঙা অংশ ছড়িয়েছিটিয়ে আছে।
এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর শাহবাগসহ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি একটি সংস্থা। এছাড়াও ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর শাহবাগ, শনির আখড়া, নয়াবাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ১৩ জন। এর মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।
রাজধানী উত্তরার আজমপুরে বিক্ষোভকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ধাওয়া দেয় বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীরা বিএনএস থেকে আজমপুর পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করছেন। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব হাসান আজমপুরের একটি ক্যাম্পে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা ছিলেন সড়কে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে আগুন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে। রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করা হয়। হামলার মুখে ওই কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের কর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত আটটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধরা সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের ভবন দখল করে বানানো জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর বিক্ষোভকারীরা ফরিদ শাহ সড়ক ধরে কোট এলাকার দিকে যেতে চাইলে রাজেন্দ্র কলেজ ও জেলখানার মোড়ে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পৌনে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা থানা রোডে অবস্থিত শহর আওয়ামী লীগে কার্যালয়ে হামলা করে।
রাজধানীর পরিবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিক্ষোভকারীরা। দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে হাজার বিক্ষোভকারী ছিলেন। আরও মিছিল আসছিল। তাঁরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়ে আছে। থানার সামনে বিক্ষোভকারীদের একাংশ সেখানে অবস্থান থানার দিকে কাউকে না যাওয়ার অনুরোধ করছেন। মিছিল অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেন। সকাল সাড়ে ১০টার পরে তাঁরা পুরান ঢাকার দিক থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন।
সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনের দিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে পুরান ঢাকার দিক থেকে আসা মিছিল থেকে তাঁদের ধাওয়া দেওয়া হয়। তাঁরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে যান। সেখান থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হচ্ছিল। তখন বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের খুঁজতে থাকেন। এ সময় হাসপাতালের প্রাঙ্গণে থাকা প্রায় ২০টি গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স এবং ১৫টির মতো মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসার সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তখন আবার তাঁরা ভাঙচুর শুরু করেন। সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে বিক্ষোভে এক দফা দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। আরও বলা হয়, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’।
১১ ঘণ্টারও বেশি সময় পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এর আগে গতকাল বেলা দুইটার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
দোহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ এরফান বলেন, রাত দুইটার পর থেকে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলার অন্তত পাঁচটি জায়গায় দীর্ঘসময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এই অংশে অন্তত ১১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভকারী–পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ চলছে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চললেও সোয়া ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর সিটি কলেজের দিক থেকে হামলা করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে পুলিশও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে অন্তত আট জন আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে।
একই স্থানে আজ বেলা একটায় অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। বেলা ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেন। তবে সোয়া ১১টার দিকে সিটি কলেজের সামনের এলাকা থেকে সরকার-সমর্থক একদল যুবক হঠাৎ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা শুরু করেন। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়। বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শত শত শিক্ষার্থী চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যায় এবং মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা চন্দ্রা দলীয় কার্যালয়ে সামনে অবস্থান করলে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়। একপর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে মিরপুর–১৪ নম্বরের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন নিখিলকে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সমাবেশ করতে দেখা গেছে। রোববার বেলা ১১টার আগে এ সমাবেশ দেখা গেছে। এ সময় তাঁদের অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। মিরপুর–১০ নম্বরে রাস্তাঘাটে যানবাহন কম চলতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জের কায়েমপুর এলাকায় সকাল নয়টার দিকে অন্তত তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। পরে এসব কারখানার পাশাপাশি আশপাশের সব কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বেলা ১১টার দিকে বিসিক শিল্পনগরে দিকে আন্দোলনকারীরা গেলে সেখানকার সব পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে সেখানকার মালিক সমিতি।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, কায়েমপুর এলাকায় সকালে বহিরাগত লোকজন প্রথমে ইউরোটেক্স কারখানায় হামলা করে শ্রমিকদের বের করে দেয়। পরে শ্রমিকদের একটি অংশ তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরে পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকলে আমরা বিসিকের সব কারখানা শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি। বিসিকে আড়াই লাখ শ্রমিক কাজ করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পুলিশের সহায়তা চেয়েছি। তবে সেভাবে সহায়তা না পাওয়ায় বিসিকের সব কারখানা ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জয়পুরহাট শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি চলছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের নতুনহাট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। সেখান থেকে তাঁর আধা কিলোমিটার দূরে জিরো পয়েন্ট পাচুর মোড়ে অবস্থান নেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সেখানে ছিলেন। তাঁরা সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে চলা অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর পুরান ঢাকায় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। আজ রোববার সকাল ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে।
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাদাঁনে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
এক দফা দাবিতে আজ রোববার সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দেন।
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে লাঠিসোঁটা হাতে শত শত লোক জড়ো হয়েছেন। সকালে সাড়ে ১০টার পরে তাঁরা পুরান ঢাকার দিক থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনের দিকে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে পুরান ঢাকার দিক থেকে আসা মিছিল থেকে তাঁদের ধাওয়া দেওয়া হয়। তাঁরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টার দিকে সেখানে সংঘর্ষ চলছিল।
সংঘর্ষের সময় হাসপাতালের প্রাঙ্গণে রাখা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সে সময় হাসপাতালের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়ছিলেন।
মিছিলের সময় এক দফা দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। আরও বলা হয়, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’।
এর আগে সকালে শাহবাগ এলাকা দিয়ে দু–তিনজন করে বিক্ষোভকারী যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তাঁদের মারধর করেন। পরে বিক্ষোভকারীরা সংগঠিত হয়ে আসেন। এ সময় শাহবাগ এলাকায় কোনো পুলিশ দেখা যায়নি।
শাহবাগ থানা এলাকায় একটি পুলিশের গাড়িকে বিক্ষোভকারীদের আসতে দেখে সরে যেতে দেখা যায়।
এক দফা দাবিতে আজ রোববার (৪ আগস্ট) সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঘোষিত এ কর্মসূচির প্রভাব রাজধানীর সড়কে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে কম দেখা গেছে যানবাহন। যানবাহনের মধ্য রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বেশি দেখা গেছে।
গণপরিবহন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী অনেক যাত্রী। বিপাকে হাসপাতালগামী রোগী ও স্বজনেরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দেওয়া হয় আজ রোববার। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা তুলে ধরেন। এর আগে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সূত্র. প্রথম আলো
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply