এই জটিলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা শুক্রবার সকাল থেকে সারা দিন তাদের ফিক্সড লাইন টেলিফোনে যোগাযোগ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। মোবাইল ফোন ও ফিক্সড লাইন টেলিফোনের মধ্যে যোগাযোগও বিঘ্নিত হয়েছে।
বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আংশিক মেরামত সম্পন্ন হওয়ায় অনেক এলাকায় টেলিফোন সচল হতে শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে মধ্যরাত পেরিয়ে যেতে পারে।
বিটিসিএলের পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ
বলেন, মগবাজার দিলু রোডে সিটি করপোরেশনের সংস্কার কাজের মধ্যে টেলিফোনের ওই ‘কোর কেবল’ কাটা পড়ে বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার সকালে তাদের কর্মীরা মেরামত কাজ শুরু করেন।
মোবাইলের এই সময়ে ল্যান্ড ফোনের ওপর নির্ভরতা কমে আসায় এবং শুক্রবার ছুটির দিনে অফিস আদালত বন্ধ থাকায় বিপর্যয়ের মাত্রা বুঝতে মানুষের সময় লেগে যায়। ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোনগুলো কাজ করছে না জানার পর সকালে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসে। পরে কারণ খুঁজতে গিয়ে সাংবাদিকরা কয়েক লাখ ফোন বিকল থাকার তথ্য জানতে পারেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহাম্মেদ খান সকালে
বলেন, তাদের বিটিসিএল নম্বরগুলো ভোরে আকস্মিকভাবে বিকল হয়ে যায়। এসব নম্বর থেকে কোথাও ফোন করা যাচ্ছিল না; আসছিলও না।
ফলে কোথাও অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে সেই তথ্য ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানাতে পারছিলেন না কেউ। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নির্ভর করতে হচ্ছিল দুটি মোবাইল ফোনের ওপর।
মহাখালীতে
মূল কার্যালয়ের ফোনগুলোও সকাল থেকে একই জটিলতায় পড়ে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিটিসিএল এর ফোন নিয়ে সমস্যার কথা জানাতে থাকেন গ্রাহকরা।
মেরামত চলার মধ্যেই সন্ধ্যার পর থেকে কিছু এলাকায় বিটিসিএল এর ফোন সচল হতে শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাজমা আকতার সন্ধ্যা ৭টার দিকে
বলেন, তাদের ফোনগুলো আবার চালু হলেও তখনও মোবাইল থেকে কোন কল পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক এলাকায় বিটিসিএলের ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
বিটিসিএলের এমডি মাহফুজ উদ্দিন
বলেন, “এই মূল কেবল মূলত টেলিযোগাযোগের হার্টের মত। এ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরো দেশে টেলিযোগাযোগে সমস্যা তৈরি হয়।”
তিনি জানান, সারাদেশে বিটিসিএল এর প্রায় নয় লাখ ল্যান্ড ফোন গ্রাহক আছেন, তাদের অধিকাংশই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।
“একে বড় ধরনের ক্ষতি বলা যায়। অনেক গ্রাহক নিজের আশপাশের এলাকায় ফোন করতে পারলেও অন্য অঞ্চলে ফোন করতে পারেননি। আবার মোবাইল থেকে টেলিফোনে বা টেলিফোন থেকে মোবাইলে ফোন দিতেও সমস্যা হয়েছে।”
সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্যা সেবা সংস্থাকে উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে সর্তকর্তা অবলম্বনের জন্য বার বার চিঠি দিলেও তারা ‘আমলে নেয় না’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বিভিন্ন স্থানে বারবার কেবল কাটা পড়ছে, এতে বারবার আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”