তার এই সফরে ভারতের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পরমাণু বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিন ডজন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ আকাশ প্রদীপ শুক্রবার বেলা ১২টা ৫ মিনিটে নয়া দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায়।
শেখ হাসিনা বিমানের সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলে নরেন্দ্র মোদী তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে করমর্দন করেন। তারা দুজনে কুশল বিনিময়ের পর প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন মোদী সরকারের বাঙালি প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শেখ হাসিনাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন মোদী। বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় রাইসিনা হিলে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে। এই সফরে সেখানেই থাকবেন তিনি।
সফরসূচি অনুযায়ী বাবুল সুপ্রিয়রই বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু সৌহার্দ্যের নজির হিসেবে মোদী নিজেই বিমানবন্দরে হাজির হয়ে হাসিনাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান, যাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে বর্ণনা করেছেন ‘একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনা’ হিসেবে।
আর শেখ হাসিনার হাতে ফুল তুলে দেওয়ার ছবি টুইট করে মোদী লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পেরে তিনি আনন্দিত।
পরে আরেক টুইটে মোদী বলেন, “আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি সংকল্পবদ্ধ।”