প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৫, ১২:৪৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১০, ২০২৩, ৫:১১ পি.এম
মেলান্দহে শিখন প্রকল্পের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ

জামালপুরের মেলান্দহে শিখন প্রকল্পের বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কামরুন নাহার চাম্পার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ সহ, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটছে মেলান্দহ উপজেলার ৮নং ফুলকোচা ইউনিয়নের রেখির পাড়া গ্রামে
শিখন প্রকল্পের বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চাম্পার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, করেছে বলে জানান শিক্ষার্থী অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীর একাধিক অভিভাকরের সাথে কথা বলে জানা যায় শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের নামে নতুন সিম কিনায় বিকাশ খোলায় সেই বিকাশ খোলার সিম শিক্ষিকা চাম্পার কাছে রাখে। এর মধ্যে দুইজন অভিভাবক চাম্পার কাছে সিম থাকলের পরেও তারা চালাকি করে আবার ২শ৫০টাকা খরচ করে সিম নিজের হাতে নেয়।
এর মধ্যেই এবার ঈদুল আজহা আগে ২১০০টাকা উপবৃত্তি টাকার মেসেজ আসে এই নিয়ে দুইপক্ষের বলাবলির পর প্রকাশ পায় সবারই টাকা আসছে। এই নিয়ে অভিভাবকেরা ছুটাছুটি করতে লাগে শিক্ষিকার কাছে, এই সময় তাদেরকে পাত্তায় দেয়না শিক্ষিকা। অনেক ছুটাছুটির পর শিক্ষিকা টাকার কথা স্বীকার করে। শিক্ষিকা আরো বলেন এই টাকা উপরে মহলের দিতে হবে। অভিভাবকের দৌড়াদৌড়ি দেখে শেষে কিছু শিক্ষার্থীর অভিবাবকের কাছে ৭০০টাকা হাতে তুলে দেন।
এই বিষয়ে মোবাইল ফোনে ঐ কেন্দ্রের বদলী শিক্ষক মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে মনির বলেন শিক্ষিকা চাম্পার সাথে কথা বলেন।
শিক্ষিকা চম্পা বলেন-আপনি আমার বাসায় আসেন কথা বলি আর জানেন তো ভাই, প্রকল্পের স্কুল এই আছে এই নাই তার পর টাকা দিয়ে স্কুল নিয়েছি আর উপরের মহলে নির্দেশে মেলান্দহ ৭০টি স্কুল চলে সেইভাবে আমার চালাতে হবে এবং এই টাকা উপরে মহলে দিতে হয়।
প্রকল্পে সুপার ভাইজার জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান - শিক্ষিকার কাছে সিম রাখার কোন নিয়ম নাই। টাকাও হাতে দেওয়ার নিয়ম নেই।
শিক্ষার্থী অভিভাবকের একাউন্টে যে টাকা আসবে তাই দিতে হবে। ২১০০টাকা পাবে ৭০০ টাকা দিবে কেনো? এবিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম খোকন, মোবাইলঃ ০১৭১১-৯১২৫৮৪, ০১৫১১-৯১২-৫৮৮৪। ই-মেইলঃ banglakanthonews@gmail.com, ওয়েবঃ banglakantho.com