
নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ সড়কে রাস্তার দুপাশে থাকা ৬০/৭০টি ঝড়তুফানে ভেঙে যাওয়া সরকারী গাছ সরকারীভাবে জব্দ না করে চেয়ারম্যানের জিম্মায় নিয়ে বিক্রি করায় জনমনে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ক্ষোভ। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাসিক উন্নয়ন সভায় সিদ্ধান্ত নেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম।
এ নিয়ে করগাও ইউনিয়নসহ অন্যান্য জনসাধারনের মনে দেখা দেয় মারাত্মক ক্ষোভ।
জানাযায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর অধিনস্থ নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ সড়কের ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে দুপাশে থাকা শত শত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গত দুসপ্তাহের ঘন ঘন ঝড় তুফানে ঐ সড়কের তারনগাও,তাজপুর মাধবপুর গ্রামের কাছে প্রায় ৬০/৭০ টি বড় বড় গাছ ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে থাকে। ঐ ভেঙ্গে যাওয়া গাছগুলো তুলে নিয়ে করগাও ইউনিয়ন অফিসে রাখার কথা বলে নিয়ে যান চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা।
পরে সুত্রে খোজ নিয়ে জানাযায় নামে মাত্র কয়েকটি গাছ টুকের বাজারে নিয়ে রেখে অধিকাংশ বড় বড় গাছগুলো নবীগঞ্জ বাজারের সোমিলে বিক্রি করে দেন চেয়ারম্যান রানা। এতে করে সরকারের প্রায় লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানাগেছে। এভাবে সরকারী সম্পত্তি রক্ষন না করে ভক্ষন করায় করগাও ইউনিয়নসহ সুধীমহলের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমদ বলেন,ঝড় তুফানে ভেঙ্গে যাওয়া গাছগুলো ইএনও স্যারকে বলে চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা তার অফিসে রাখার জন্য নিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরিয়ার জানান, ঝড়ের কবলে ভেঙ্গে যাওয়া গাছগুলো ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারী গাছ চেয়ারম্যান রানা কতৃক বিক্রির ঘটনাটি গত জুন মাসের মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
Leave a Reply