চটিপড়া দিয়ে চোর ধরার নামে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে মানহানি করায় একটি আলোচিত মামলার রায়ে ৪ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ জুন) জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ছিফাত উল্লাহ এ রায় ঘোষনা করেন।
রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হল- জহিরুল ইসলাম রাসেল, চটিপড়া প্রদানকারী হুজুর বানিয়াচং এর পূর্ব পুকড়া গ্রামের মাওলানা কাসেম বিল্লা নোমান, চটিপড়ার কাজে নিয়োজিত তুলা রাশির যাজক হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের গদাইনগর গ্রামের রুবেল মিয়া, একই এলাকার ভঙ্গুরহাটি গ্রামের জামাল মিয়া।
জহিরুল ইসলাম রাসেলের একটি দোকান চুরি হলে চটিপড়ার মাধ্যমে চোর চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০২২ সালের ১৯ আগষ্ট হাজারো উৎসুক জনতার উপস্থিতিতে চটিপড়া দেন মাওলানা কাসেম বিল্লাহ নোমান।
তুলা রাশি হিসাবে আনা হয় রুবেল মিয়া ও জামাল মিয়াকে। তারা হঠাৎ করে সুইডেনের একটি মসজিদের ইমাম মাওলানা বশির আহমেদের পুত্র নিতাইরচক গ্রামের মোঃ আব্দুল্লাহকে চোর হিসাবে চিহ্নি করে।
এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। চটিপড়ার নামে চোর আখ্যায়িত করায় আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন আব্দুল্লাহ। স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মোঃ ছিফাত উল্লাহ চটিপড়ার আয়োজক জহিরুল ইসলাম রাসেল ও চটিপড়া দাতা মাওলানা কাসেম বিল্লাহ নোমানকে ৬ মাস করে কারাদন্ড, তুলা রাশির যাজক রুবেল মিয়া ও জামাল মিয়াকে ২ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন।
একই সাথে কাসেম বিল্লাহ নোমানকে পরবর্তী জীবনে আর চটি পড়া দেবেন না মর্মে বন্ড প্রদানের আদেশ প্রদান করেন। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এম এ মজিদ, আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট ইকবাল ভূইয়া।