মাঠে তারা প্রতিপক্ষ। মাঠের বাইরে তাদের নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল দুনিয়া। কে ভালো ফুটবলার তা নিয়ে তরজার অন্ত নেই। তবে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো দিন খারাপ কথা বলেননি। একে অপরকে শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন তাঁরা। কাতার বিশ্বকাপের আগে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল মেসি-রোনালদোকে। একটি ছবিতে।
বিশ্বকাপের আগেই সমাজমাধ্যম জুড়ে ছেয়ে গিয়েছিল দুই চরম ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ রোনালদো এবং মেসির একটি ছবি। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, একে অপরের মুখোমুখি বসে রয়েছেন লিও-রোনালদো। তবে ফুটবল নয়, সামনে রানি-বোড়ে ‘সাজানো’ ছকে দাবা খেলছেন তারা।
ছবিতে দেখা গিয়েছিল, দুই ফুটবল তারকার পরনেই একটি করে গোল গলা কালো টি-শার্ট এবং ডেনিম জিনস্। একজনের গেঞ্জির হাতা কব্জি অবধি ঢাকা। অন্যজনের গেঞ্জির হাতা সামান্য গোটানো। ছবিতে মেসির হাত গালে, রোনালদোর হাত কপালে। ক্ষুরধার নজরে দু’জনেই তাকিয়ে দাবার গুটির দিকে। যেন, মগজাস্ত্র চালিয়ে একে অপরকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
দুই ফুটবল তারকার সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ব জুড়ে অনুরাগীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই প্রথমে ভেবেছিলেন কেরামতি করে কেউ এই ছবিটি কম্পিউটারে বানিয়েছেন। পরে জানা যায়, সত্যি সত্যিই একসাথে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছিলেন ফুটবলের দুই মহারথী। রোনালদো এবং মেসিকে বিজ্ঞাপনের মুখ করেছিল এক ফ্যাশন সংস্থা। এবং তা করতে গিয়ে যথেষ্ট গাঁটের কড়ি খরচা করতে হয়েছিল ওই সংস্থাকে।
বিজ্ঞাপনের জন্য প্রায় ৩২ কোটি বাংলাদেশী টাকা নিয়েছিলেন রোনালদো। মেসি অবশ্য অত টাকা নেননি। তিনি নিয়েছিলেন প্রায় ২৪ বাংলাদেশী কোটি টাকা। অর্থাৎ, দুই ফুটবলারের জন্য প্রায় ৫৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল সেই সংস্থার।
ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর অনুগামীর সংখ্যা ৫২ কোটিরও বেশি। মেসির অনুগামীর সংখ্যা ৪০ কোটির বেশি। আর সেই জন্যই দু’জনেই ভালো ফুটবলার হওয়া সত্ত্বেও মেসির থেকে বেশি পারিশ্রমিক রোনালদোকে দেয়া হয়েছিল।
দুই ফুটবলারের মতো এই ছবিকেও অনেকে ‘সর্বকালের সেরা’ ছবির তকমা দিয়েছেন। এই ছবি তুলেছিলেন বিখ্যাত আলোকচিত্রী অ্যানি লিবোভিটজ্। এই ছবি তুলতে তিনিও নিয়েছিলেন কোটি কোটি টাকা। তবে মেসি এবং রোনাল্ডো একসঙ্গে এই ছবি তোলেননি। মেসি এবং রোনালদোকে আলাদা আলাদা ডেকে তাদের ছবি তোলা হয়েছিল। পরে সম্পাদনা করে সেই ছবি জুড়ে দেয়া হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা