শাল্লা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক মোঃ সাদ্দাম হোসেনের(৩০) আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায় বুধবার ২ফেব্রæয়ারী উপজেলা পরিষদকমপ্লেক্সে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ফাঁকা অফিস কক্ষের জানালার গ্রীল হতে সাদ্দাম হোসেনের লাশ গলায় মাফলার পেছানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শাল্লা থানা পুলিশ।
তবে কখন সে ফাঁস লাগিয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা: নিরুপম রায় চৌধুরী এসে অফিস সহায়ক মোঃ সাদ্দাম হোসেনের মৃত নিশ্চিত করেন। মৃত সাদ্দাম হোসেন উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলী একমাত্র ছেলে।
মৃত সাদ্দামের চাচী নব নির্বাচিত ইউপি মহিলা মেম্বার মোছাঃ মনোয়ারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বেলা ১১টা থেকে আমি সাদ্দামকে বার বার ফোন করছি, কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি। পরে বিকাল ৫টার দিকে অফিস থেকে ফোনে খবর পাই আমাদের সাদ্দাম নাকি আত্মহত্যা করেছে। এবিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ মর্মে প্রেরণ করেছি। তিনি আরো বলেন, সাদ্দামের মৃত্যুর ব্যপারে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. দিপু রঞ্জন দাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সাদ্দাম আমাদের কর্মচারী হলে তাকে আমি ছোট ভাইয়ের মতো দেখতাম।
সে খুবই ভালো ছেলে ছিল। কিন্তু সে কেনো যে একাজটি করলো; আমি বুঝে উঠতে পারছিনা। পরিশেষে আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তার শোক সন্ত্রস্থ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেবের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিকাল ৪টা ৫৫মিনিটে ঘটনাটির খবর পাই।
এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমার পাশে ছিলেন, সাথে সাথে আমি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও অফিসের অন্যান্য কর্মচারীগণ ঘটনাস্থলে যাই এবং বিষয়টি দেখতে পেয়ে অফিসার ইনচার্জ ও টিএইচসি-কে জানাই। তারাও ঘটনাস্থলে আসেন। উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনিবলেন, সাদ্দাম খুবই ন¤্র, ভদ্র ও বিনয়ী ছেলে ছিল। তার এরকম মৃত্যু আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে। আমি সাদ্দামের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।