হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী বলেছেন- হাশরের ময়দানে মানুষকে তার আমলনামা অনুযায়ী উঠানো হবে। একেকজনকে দেখলেই বুঝা যাবে দুনিয়াতে সে কি কাজ করে এসেছে।
হাশরের ময়দানে কিছু মানুষকে পাগলের বেশে উঠানো হবে, তারা হচ্ছে সুদখুর, কিছু মানুষকে মুখমন্ডলে জ¦লন্ত আগুন অবস্থায় দেখা যাবে, তারা দুনিয়াতে এতিমের সম্পদ ভক্ষনকারী, কিছু মানুষকে পিপড়ার মতো উত্তোলন করা হবে, তারা হচ্ছে অহংকারী, কিছু মানুষের কপালে লেখা থাকবে, আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি, তারা হচ্ছে দুনিয়ায় হত্যাকান্ডের সহযোািগতাকারী ও পরামর্শদাতা। এইভাবে বিভিন্ন বড় বড় অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে বিশেষ বিশেষ চিহ্নে হাশরের ময়দানে দেখা যাবে।
তাদেরকে ফেরেশতারা টেনে টেনে দোযকে নিক্ষেপ করবে। রাসুল (সা) বলেছেন- আমি দোযখও দেখেছি, জান্নাতও দেখেছি। দোযখের ভয়াবহতা যদি মানুষ জানতো দেখতো তাহলে দুনিয়ায় হাসিতামাশা চিরতরে বন্ধ করে দিতো। মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন-জান্নাত এবং জাহান্নাম বিশ^াস করতেই হবে। নতুবা ঈমান থাকবে না। পবিত্র কোরআনে অন্তত ১৪৫ জায়গায় জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। পুলসিরাতের পুল পার হয়েই জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে।
পুলসিরাতের পুলটি কেমন, এর গভীরতা কত? কোরআন হাদিসের উদৃতি দিয়ে তিনি বলেন-গাড় অন্ধকারের মধ্যে সুক্ষ ধারালো রকমের হবে সেই পুল। এর গভীরতা হচ্ছে একটি ওজনদার পাথর দুনিয়া থেকে নিচে ছাড়লে ৭০ বছর পর সেটি তলদেশে যেতে যে সময় লাগবে ততটুকু গভীর হবে পুলসিরাত পুলের নিচের জাহান্নামের গভীরতা। জাহান্নামীরা সে পুল পার হওয়ার সময় কেটে কেটে নিচে পড়ে যাবে, সারা জীবন তারা জাহান্নামের আগুনে পড়বে। জান্নাতীরা নামাজ রোযার ওসিলায় বিদ্যুৎ বেগে সে পুল পার হয়ে জান্নাতে যাবে। যারা জাহান্নামী হবে তাদের খাবারের তালিকাও ভয়বাহ। জাক্কুম ধরনের এক জাতীয় ফল তাদেরকে খেতে দেয়া হবে।
সেই কাটাযুক্ত ফল গলায় বিদ্ধ হয়ে আটকে থাকবে। নিকৃষ্ট তিতা হবে সেই ফল। তাদেরকে ফুটন্ত পানি পান করতে দেয়া হবে। যে পানি পান করার সাথে সাথে মুখ গলা পুড়ে অংগার হয়ে যাবে, নাড়িভুরি বের হয়ে যাবে। মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী পবিত্র কোরআনের সূরা হুমাযাহ, সূরা আননাবা, সূরা ওয়াকিয়াহসহ বেশ কয়েকটি সূরা থেকে জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে বয়ান করেন।
এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ, ২০ জানুয়ারী
০১৭১১-৭৮২২৩২