টানা চার কার্যদিবস উত্থানের পর নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৫ নভেম্বর) সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।
এদিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে টানা চার কার্যদিবস উত্থানের পর পুঁজিবাজারে সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলো।
দিনভর সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে উভয় বাজারে লেনদেন হয়। দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমে ২৯ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমে ৯৯ পয়েন্ট।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শেয়ারের দাম কমায় এদিন উভয় বাজারে দরপতন হয়েছে। তবে বিমা, প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হওয়ায় বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে বাজার।
ফলে চারদিন পর সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারে দাম কমাকে মূল্য সংশোধন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বাজারে প্রফিট টেকিং হয়েছে। এটা দরপতন নয়।
ডিএসই’র তথ্যমতে, রোববার এ বাজারে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৯টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫৬৯ কোটি ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫৫২ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনেদেন হয়েছিলো ৭১৭ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার।
এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ইনডেক্স ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান নিয়েছে ১ হাজার ২২১ পয়েন্টে। এছাড়াও ডিএস-৩০ ইনডেক্স ১৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৫৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ১৮৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
অন্যদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক ৯৯ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৪২টির এবং ২৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ বাজারে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস দিন লেনদেন হয়েছিলো ২৭ কোটি ৯ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৫ টাকার।