টাকা ছাড়া প্রবেশপত্র না দেয়া,পরবর্তীতে অঙ্গীকারনামায় পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর রেখে প্রবেশপত্র দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বানিয়াচং উপজেলা সদরের পূর্ব তোপখানা মহল্লার মৃত জামান উল্লাহর পুত্র মো: মোতাব্বির হোসেন নামে এক ব্যক্তি।
০৭ নভেম্বর সোমবার এই অভিযোগটি দায়ের করেন তিনি। সুত্র জানিয়েছে,নতুন এই অধ্যক্ষ যোগদানের পর থেকেই বদলে যেতে থাকে কলেজের পরিবেশ। বানিয়াচং সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজে যেখানে ওই অধ্যক্ষ আসার আগে অনার্সের ফরম পুরণ ফি ছিল ৩ হজার ১শ টাকা আর এখন নেয়া হচ্ছে ৪ হাজার ৭শ টাকা। অনার্সের সকল শিক্ষার্থীদের সেমিনার লাইব্রেরীর জন্য চলতি বছরে ১ হাজার ৫শ টাকা করে আদায় করায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ ভুইয়া।
বিষয়টি নিয়ে একটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকের কাছে প্রতিবাদ জানালে কেউ কর্ণপাত করেননি। এইচএসসি’র রেজি: ফি যেখানে অন্যান্য কলেজে নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৮শ টাকা সেখানে ওই কলেজ অধ্যক্ষ নিয়েছেন ৩ হাজার ৫শ টাকা করে। এ সকল সিদ্ধান্ত তিনি গভর্নিংবডির সাথে কথা না বলে বা তাদেরকে না জানিয়ে এককভাবেই নিয়েছেন। কলেজের কোন কাজে জেলা প্রশাসক বা ওই অফিসে গেলে তার এই আসা-যাওয়ার বিল ভাউচার করে অফিস থেকে টাকা নিচ্ছেন। ব্যক্তিগত কাজে গেলেও তিনি অফিসের খাতে ভাউচার দিয়ে টাকা নেন।
[caption id="attachment_5454" align="alignnone" width="900"] সুলতান আহমেদ ভুইয়ার বিরুদ্ধে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক বরাবরে দায়ের করা লিখিত অভিযোগ।[/caption]
এমনকি কলেজে আসা-যাওয়ার গাড়ি ভাড়াটাও তিনি বিল করে কলেজ ফান্ড থেকে নেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তাছাড়া বিগত ৬ মাসে বিভিন্ন জায়গা আসা-যাওয়া খরচ বাবদ তার টিএডিএ’র বিল দেখিয়ে কলেজ ফান্ড থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে খরচ করেছেন অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ ভুইয়া। অভিযোগের সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদক কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী মোতাব্বির হোসেন।
প্রসঙ্গত,বানিয়াচং সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ ভুইয়ার বিরুদ্ধে সভাপতিকে না জানিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীদের পোষাক বদল,আইডি কার্ডের নাম করে টাকা আদায়, শিক্ষার্থীদের বেতনের রশিদ না দেয়া,ভ্রমন বিলের নামে ভুয়া ভাউচার করে কলেজ ফান্ড থেকে টাকা নেয়া,ঠিকমতো কলেজে না আসাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এগুলো নিয়ে বিগত গভর্নিংবডির সভায় সভাপতিসহ সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। খোদ কলেজ ফাউন্ডার সদস্যরাও তার এসব কর্মকান্ডে নাখোশ রয়েছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ ভুইয়ার এসব অনিয়ম ও অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে জিবি সদস্যদের দিয়ে অডিট করার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছেন গভর্নিংবডির সভাপতি পদ্মাসন সিংহ।