পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান সোমবার সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার অবসরগ্রহণ নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তার মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন।
একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যে নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ স্থগিত রাখা উচিত।
ইমরান খান বলেন, তিনি 'আগাম নির্বাচন নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করতে এখন প্রস্তুত'।
তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।'
আদালত অবমাননা মামলা সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, তিনি তাকে সুযোগ দেয়া হলে তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
তিনি আরো বলেন, গত চার মাসে তিনি নজিরবিহীন সম্মান লাভ করেছেন। তিনি জানান, 'ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য আমি নির্বাচনের দিকে ছুটছি না। বরঙ নির্বাচন থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।'
পিটিআই প্রধান বলেন, তার কোনো ব্যাখ্যায় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত। তিনি পরবর্তী জনসমাবেশে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন।
তিনি বলেন, আমাকে আবার কথা বলার সুযোগ দেয়া হলে তারা যা চায়, আমি তা করব।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিকের সাথে বৈঠক
ইমরান খান আরো বলেন, তিনি 'আমেরিকানবিরোধী নন'। বানিগালায় সাবেক মার্কিন কূটনীতিবিদ ও সিআইএর বিশ্লেষক রবিন রাফালের সালে বৈঠকের পর তিনি এই মন্তব্য করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই রবিন রাফালকে চিনি। তিনি সরকারের সাথে সম্পর্কিত নন। তবে তিনি একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সাথে কাজ করেন।
ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্কের ওপর জোর দিলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে এটি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়।
পিটিআই প্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দলের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ নয়। তবে তার রাশিয়া সফর এবং ইউক্রেনে পুতিনের হামলার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র : জিওটিভি ও দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল