যমুনার ভাঙ্গনে সর্বশান্ত মানুষ বাধ হওয়ায় স্বস্থ্যির নিঃশ্বাস ফেলে পাড়েই গড়ে ছিল স্বপ্নের ঠিকানা। কিন্তু যথাযথ রক্ষনা-বেক্ষন ও তদারকির অভাবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কৈজুরী বাধের বিনোটিয়া-মাজ্জানে এক কিলোমিটারের মত ভেঙ্গে মুহুর্তেই বিলীন হয়েছে শতাধীক ঘর-বাড়ি। নিঃস্ব মানুষ গুলোর এখন দুর্ভোগের সীমা নেই। নতুন করে ভাঙ্গনে হাজারো বসতি সহ ৩ বছর আগে ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধটিও এখন বিলীন হবার পথে। ভুক্তভোগীরা বলছেন দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের। এদিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহতের পাশাপাশি নতুন প্রকল্প গ্রহন করে স্থায়ী ভাবে এলাকা রক্ষা করা হবে। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
অব্যাহত ভাঙ্গন রোধে ১০ বছর আগে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কৈজুরী থেকে বিনোটিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার বাধ নির্মানের পর পাড়েই অনেকে বাড়ি-ঘর তৈরী করে বসতি গড়েন। তবে চলতি বন্যায় হঠাৎ করে নদীতে প্রচন্ড ¯্রােতে বিলীন হয়ে যায় মাজ্জান ও বিনোটিয়া অংশে বাধের প্রায় ১ কিলেমিটার এলাকা। একই সাথে পাড়ে থাকা আরো শতাধীক ঘরবাড়ি নদীতে দেবে যায়। বর্তমানে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে আতংক। পাউবো কিছু করে জিও ব্যাগ ফেললেও তাতে সন্তুষ্ট নন ভুক্তভোগীরা।
ভক্সপপ-১ ফাইলে।
নদীতে বিলীন শতাধীক পরিবার এখন আশ্রয় নিয়েছে পাশের বাধে। সেখানে তাদের দুর্ভোগের অন্তঃ নেই। খেয়ে না খেয়ে চলছে সব হারানো মানুষ গুলোর সংসার। এদিকে ভাঙ্গন আবারো বেড়ে যাওয়ায় আরো হাজারো ঘরবাড়ি সহ ৩ বছর আগে ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধটিও এখন বিলীনের পথে। তাই জরুরী ভাবে যথাযথ পদক্ষেপ দাবী করলেন স্থানীয়রা।
ভক্সপপ-২ ফাইলে।
এ অবস্থায় ভাঙ্গন রোধে নতুন প্রকল্প গ্রহন সহ দ্রুত পদক্ষেপ নেবার কথা জানিয়েছেন পাউবোর এই কর্মকর্তা।
সিংক-শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। মোবাইলে ভয়েস রেকর্ড (জেলার বাইরে থাকার জন্য)