শিরিন আবু আকলেহ যে বুলেটের আঘাতে মারা যান, সেটির ব্যালিস্টিকস পরীক্ষা করবে ইসরাইল। রোববার ইসরাইলি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগের দিন শনিবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আমেরিকান বিশেষজ্ঞদের কাছে বুলেটটি হস্তান্তর করে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রান কোচাভ সেনা রেডিও মারফত এ ঘোষণা দেন। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আমেরিকানদের এই বুলেট পরীক্ষার সবুজ সংকেত দিয়েছিল, ইসরাইলকে নয়। দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইল হামলা চালালে বুলেটের আঘাতে আবু আকলেহ নিহত হন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, ইসরাইলের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের উচিৎ হবে ‘আমেরিকানদের ওপর ভরসা রাখা?’
কোচাভ আরো বলেন, ‘আমেরিকানরা এই পরীক্ষা করবে না। এটি আমেরিকানদের উপস্থিতিতে একটি ইসরাইলি পরীক্ষা হবে।’
তিনি আরো জানান, ‘আমরা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। যদি আমরা তাকে হত্যা করে থাকি, তবে আমরা এই ঘটনার দায়িত্ব নেব এবং আমরা এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করবো।
তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোচাভের মন্তব্যের বিশদ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এই ব্যালিস্টিক পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে কী না, তাও জানা যায়নি।
একজন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিক আবু আকলেহ গত ১১ মে ‘প্রেস’ লেখা একটি ভেস্ট এবং হেলমেট পরে উত্তর-পশ্চিম তীরের জেনিন ক্যাম্পে ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
ফিলিস্তিনিদের আনুষ্ঠানিক তদন্তে জানা গেছে, হেলমেটের ঠিক নিচে এসে আঘাত হানা এক বুলেটে কাতার ভিত্তিক আল জাজিরার অন্যতম তারকা এই প্রতিবেদক নিহত হন।
আরো জানা যায়, একটি রুগার মিনি-১৪ রাইফেল থেকে ৫ দশমিক ৫৬ মি.মি. বর্ম-ভেদকারী বুলেটটি ছোঁড়া হয়।
জাতিসঙ্ঘ ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পরিচালিত একাধিক তদন্তে জানা গেছে, বুলেটটি ইসরাইলি বাহিনীর কোনো এক সদস্য ছুঁড়েছেন।
তা সত্ত্বেও, ইসরায়েল দাবি করেছে, তিনি ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যভ্রষ্ট বুলেটের আঘাতে মারা গিয়ে থাকতে পারেন।
সেনাবাহিনী আরো দাবি করেছেন ‘আবু আকলেহকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো আইডিএফ সেনা গুলি করেননি।’