হবিগঞ্জ শহরের চান মিয়া জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা নাসির উদ্দিন আখনজী বলেছেন- আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষকে অগনিত নেয়ামত দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আবার প্রত্যেকটি নেয়ামত ভোগের বিপরীতে জবাবদিহীকে জুড়ে দিয়েছেন।
অর্থাৎ আপনি আল্লাহর একটি নেয়ামত প্রাপ্ত হয়েছেন, সেটা যথা নিয়মে ভোগ করছেন কি না, সে সম্পর্কে জবাবদিহী করতে হবে। চোখের নেয়ামত হাতের নেয়ামত কানের নেয়ামত ধন সম্পদের নেয়ামত সন্তানের নেয়ামত এভাবে অগনিত নেয়ামতের জবাবদিহী করতে হবে অন্ধকার কবরে এবং সেটা একা একা।
তিনি বলেন- মৃত্যুর সাথে সাথে দুনিয়ার চোখ বন্ধ হয়ে যাবে, একই সাথে পরকালীন চোখ খুলে দেয়া হবে। মৃত ব্যক্তি ফেরেশতাদেরকে দেখতে পারবেন, এমনকি অন্ধকার কবরে যে দুজন ফেরেশতা মৃত ব্যক্তিকে উঠিয়ে বসাবেন তাদেরকে তিনি দেখতে পারবেন, শুধু তাই নয়, কবরস্থ করার পর আত্বীয় স্বজনদের চলে আসার পায়ের আওয়াজও মৃত ব্যক্তি শুনতে পারবেন।
এমন কঠিন মুসিবতের সময় নেক আমল ছাড়া কিছুই সাথে থাকবে না। মৃত ব্যক্তিরা তাদের স্বজনদের কবরের পাশে পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। কোনো আত্বীয় স্বজন কবরের পাশে গিয়ে দোয়া করলে মৃত ব্যক্তির আনন্দের আর সীমা থাকে না। নেক সন্তান ছাড়া এমন ভাগ্যবান হওয়া সম্ভব নয়।
সূরা আত্ব তাকাসুর এর ব্যাখ্যা করে মাওলানা আখনজী বলেন- মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই। সম্পদের লালসা মানুষকে গাফেল করে ফেলেছে, কবর পর্যন্ত মানুষের সে লালসা থাকে, অথচ মানুষের এমন চাহিদা রাখা মোটেই ঠিক নয়, মৃত্যুকে মানুষের ভয় করা উচিত, মৃত্যুই মানুষের চাহিদার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারে।
প্রত্যেক মানুষকে জাহান্নাম দেখানো হবে, এমনতিই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন- জাহান্নামের দিকে আহবানকারী বন্ধুরুপী শত্রুদেরকে ত্যাগ করুন, জীবন পাল্টে যাবে। যারা নামাজের সময় নামাজের কথা বলে না, তারা শত্রু, আপনার সুন্নতী জীবন যাপন যাদের কাছে পছন্দনীয় নয়, তারা আপনার শত্রু, এসব শত্রুকে পরিত্যাগ করুন, তাদেরকে বন্ধু বানাবেন না, তারা আপনাকে দোযখে নিয়ে ছাড়বে।
৩৩ মিনিটের জুমার খুৎবায় মাওলানা নাসির উদ্দিন আখনজী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান, একই সাথে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান।
লেখকঃ এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ, ২৪ জুন ২০২২
০১৭১১৭৮২২৩২
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply