হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এডভোকেট নজরুল ইসলাম ও ইকবাল বাহারের তাণ্ডবে ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধনমিয়ার ছোট ভাই শেরুজ্জামান খান বাচ্চু এখন মৃত্যু শয্যায়।
আত্ন রক্ষা করতে বন্দুকের গুলি ছোড়েন ধনমিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলা সদরের সৈদ্যাটুলা ছান্দের তোপখানা ও সৈদ্যাটুলা মহল্লায়। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, সৈদ্যাটুলা সাত মহল্লা ছান্দের জনগণের ঐক্যমতের ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধনমিয়াকে উপদেষ্ঠা নিয়োগ করা হয়। এর পরথেকে তিনিই উক্ত ছান্দের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
সম্প্রতি লক্ষীবাওড় জঙ্গলের পাশ্ববর্তী এলাকায় সরকারের পক্ষথেকে একটি সার্কিট হাউজ নির্মাণের কাজ চলছে। আর এইটাকে ভিত্তি করেই ঐ দুইজন কিছু সংখ্যক লোকজনকে ভূল বুঝায় যে ধনমিয়া চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকা পেয়ে সরকারের নিকট ছান্দের জায়গা বিক্রি করেছেন। পরে ছান্দের কিছু সংখ্যক লোক মিলে নজরুল ইসলামকে গ্রুপের সর্দার নিয়োগ করে। যা ছান্দের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে না হওয়ায় তারা না মেনে ধন মিয়াকেই বহাল রাখেন।
এর পরথেকেই মূলত নজরুল ও ইকবাল এলাকার দাঙ্গাবাজদের নিয়ে দাঙ্গার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। ০৫ মে বৃহস্পতিবার সকালে ঐ দুজনের নেতেৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা ধনমিয়ার তোপখানা মহল্লায় অবস্থিত নিজ বাড়িতে ও সৈদ্যাটুলা মহল্লায় অবস্থিত তার ছোট ভাই আবুল কাশেম খান মবু ও শেরুজ্জামান খান বাচ্চুর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, টেটা, ফিকল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দাঙ্গাবাজদের টেটার আগাতে ধনমিয়ার ছোট ভাই শেরুজ্জামন খান বাচ্চু (৬০) নাকে মূখে টেটার আঘাত প্রাপ্ত হন।
এসময় দাঙ্গাবাজরা কয়েকটি বাড়ি ঘরে লুটপাট ও ভাঙচুর শুরু করে। পরর্তীতে আত্নরক্ষায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়েন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানায় অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেনর নেতৃতত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ১৪৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২৪ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় উভয় পক্ষের দেশীয় অস্ত্র ও গুলির আঘাতে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোক আহ হয়।
টেটা অপসারনের জন্য আশংকা জনক আহত অবস্থায় শেরুজ্জামান খান বাচ্চুকে প্রথমে সিলেট ও পরে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যন্য আহতদের সিলেট, হবিগঞ্জ ও বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিক ২০ জনকে আটক করেছে। তবে বেশির ভাগ আহতরা পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে স্থানীয় বিভিন্ন ফার্মেসীতে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এব্যাপারে ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মোক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধনমিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, আমার ও আমার ভাইদের বাড়িতে সকাল বেলা ইকবাল ও নজরুলের নেতৃত্বে দেশীর অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় আমার ছোট ভাই তাদের টেটার আঘাতে মারাত্নক জখমসহ আমাদের পরিবারের অধিকাংশরাই জখমহয়। পরে আমি আত্ন রক্ষার্থে ফাকা গুলি ছোড়ি।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply