লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিধি অমান্য করে হোয়াইট হল ও ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টিতে অংশগ্রহণ করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে জরিমানা করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ক্যারি জনসনকেও কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের জন্য জরিমানা করা হয়। বরিস জনসনই ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় আইন ভঙ্গ কারণে জমিনা দিলেন।
২০২০ সালের জুন মাসে বরিস জনসনের জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠানে কোভিডের স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১২ এপ্রিল মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, প্রধানমন্ত্রী এবং চ্যান্সেলর ছাড়াও আরো শীর্ষ ৫০ জন রাজনীতিককেও জরিমানা করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বরিস জনসনের সমালোচনা করে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, বরিস জনসন ও ঋষি সুনাক উভয়ে একাধিকবার আইন ভঙ্গ করেছেন এবং সবসময় তারা দেশবাসীর কাছে মিথ্যা কথা বলেছেন।
তাদের অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংসদকে বিভ্রান্ত করার দায়ে লিবারেল ডেমক্রেট নেতা পার্লামেন্টের ইস্টার ছুটি কমিয়ে অধিবেশন ডেকে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ‘আস্থা ভোট’ অনুষ্ঠানের আহবান জানিয়েছেন।