1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
ভাড়ায় হাফিজ সাহেবদেরকে নিয়ে পবিত্র কোরআন পড়ানো বন্ধ করুন : জুমার খুৎবায় আল্লামা মাসরুরুল হক - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

ভাড়ায় হাফিজ সাহেবদেরকে নিয়ে পবিত্র কোরআন পড়ানো বন্ধ করুন : জুমার খুৎবায় আল্লামা মাসরুরুল হক

এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ,
  • শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে
ভাড়ায় হাফিজ সাহেবদেরকে নিয়ে পবিত্র কোরআন পড়ানো বন্ধ করুন
ভাড়ায় হাফিজ সাহেবদেরকে নিয়ে পবিত্র কোরআন পড়ানো বন্ধ করুন। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার নুরুল হেরা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় আল্লামা মাসরুরুল হক বলেছেন- পবিত্র কোরআন সকলকেই পড়তে হবে।

সে অনুযায়ী আমল করতে হবে। বর্তমানে পবিত্র কোরআন শরিফকে হাফেজ সাহেবদের জন্য এবং মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের জন্য রেখে দেয়া হয়। সাধারণ মানুষ পবিত্র কোরআন শরিফ পড়তে চায় না। প্রতিদিনের রুটিনে কোরআন অধ্যায়ন নেই বললেই চলে।

মানুষ ভাড়া করে হাফিজ সাহেবদেরকে নিয়ে কোরআন শরিফ পড়ান। এই প্রবনতা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন- প্রায়ই আমাদের কাছে লোক আসেন। এসে বলেন- একজন হাফিজ সাহেব দেন, তিনি প্রতিদিন আমার মা বাবার কবরের পাশে গিয়ে কোরআন শরিফ পড়ে আসবেন। বিনিময়ে আমি তাকে টাকা দেব। এই ভাড়ায় হাফিজ সাহেবদেরকে নিয়ে পবিত্র কোরআন পড়ানো বন্ধ করতে হবে।

মনে যখন চাইবে তখনই মা বাবার কবরের পাশে গিয়ে নিজেরা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করুন, যা পারেন, তা ই পড়ুন, দোয়া করুন, ইছালে সওয়াব হবে। কবরের পাশে নিয়মিত যেতে না পারলে যখন স্মরণ হবে তখনই বাবা মার জন্য দোয়া করুন, তবুও ভাড়ায় হাফিজ সাহেবদেরকে নেবেন না।

তিনি বলেন- মানুষের মাঝে আমল কমে যাচ্ছে, ইমানও কমে যাচ্ছে। দাউদ আঃ এর জীবনী থেকে আল্লামা মাসরুরুল হক বলেন- তিনি ১দিন অন্তর অন্তর রোজা রাখতেন, ৪০ বছর সেজদায় পড়ে কেদেছেন, কবরের আজাব সম্পর্কে ওয়াজ করার সময় উপস্থিত ৪০ হাজার মাকলুকাতের মধ্যে কবরের আজাবের ভয়ে আতংকে ৩০ হাজার মাকলুকাত মৃত্যু বরণ করেন।

তিনি এতো সুন্দর করে জবুর কিতাব পড়তেন, জবুর কিতাব পড়া শুনার জন্য বাতাস তার চলাচল বন্ধ করে দিত, হাজার হাজার মাকলুকাত জড়ো হতো। এখন কবরের আজাবের ওয়াজ করলে কেউ কাদে না, পবিত্র কোরআন শরিফ পড়লে অনেকে শুনতেও চায় না।

পবিত্র রমজানে বেশি বেশি আমল করার তাগিদ দিয়ে আল্লামা মাসরুরুল হক বলেন- পবিত্র রমজানে আল্লাহর রাগ থাকে না, দোযকের দরজা বন্ধ থাকে, আল্লাহর পক্ষ থেকে শুধু রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সুসংবাদ থাকে।

যতসব আসমানী কিতাব নাজিল হয়েছে তা পবিত্র রমজান মাসেই হয়েছে। হেলায় সময় না কাটিয়ে ইবাদতের মাধ্যমে রমজান উদযাপনের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। নুরুল হেরা জামে মসজিদে প্রতিদিন রাত ২টায় জামায়াতের সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ানো হয়।

প্রতিদিন ৮ রাকাত তাহাজ্জুত নামাজে ৩ পারা কোরআন শরিফ পড়া হয়। তাহাজ্জুত নামাজে এলাকার যুবকদের অংশগ্রহণকে তিনি প্রশংসার সাথে স্মরণ করেন।

লেখকঃ সাংবাদিক ও আইনজীবি

মোবাইলঃ ০১৭১১৭৮২২৩২

ই-মেইলঃ majid1981@yahoo.com

 

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD