1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু, মা গ্রেফতার - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু, মা গ্রেফতার

Reporter Name
  • শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০২২
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু, মা গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু, মা গ্রেফতার। ছবি: বাংলা কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে দুই শিশু সন্তান ইয়াসিন মিয়া (৭) ও মোরসালিন মিয়াকে (৪) বিষ খাইয়ে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মা রিমা বেগম। আদালতের আদেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকালে রিমা বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখানে তিনি বিচারক আফ্রিনা আহমেদ হ্যাপির সামনে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পরিদর্শক দিদারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শিশুদের বাবা ইসমাইল হোসেন সুজন আশুগঞ্জ থানায় রিমা এবং সফিউল্লাকে সফুকে দায়ী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আরেক আসামি রিমার কথিত প্রেমিক সফিউল্লা (সফু) এখন পলাতক রয়েছেন। আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইর গ্রামের বাসিন্দা সফু ৪ সন্তানের জনক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্যা মোহাম্মদ শাহীন গ্রেপ্তার রিমা আক্তারের বরাত দিয়ে জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন শিশুদের মা। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে হত্যা করেন মা। পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নাপা সিরাপের রি-অ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইটভাটা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন সুজন ও চাতাল শ্রমিক রীমা বেগমের দুই শিশু সন্তানের জ্বর হওয়ায় দুর্গাপুর বাজারের জনৈক মাইন উদ্দিনের ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ কিনে খাওয়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বমি করতে শুরু করে তারা। এরপর আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টার ব্যবধানের দুই শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

নিহত দুই শিশুর মা ও স্বজনদের অভিযোগ, তারা গরিব ও দরিদ্র। তাই সিরাপ খেয়ে অসুস্থ হওয়া দুই শিশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা হয়নি। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে এবং হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা পেলে শিশু দুটি মারা যেত না বলে দাবি করেন তারা।

এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিনটি কমিটি করে।

সারাদেশের পাইকারি ও খুচরা দোকান পরিদর্শন করে নাপা সিরাপের একটি ব্যাচের ওষুধ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আশুগঞ্জের ওই পরিবারের কাছ থেকে নাপা সিরাপের বোতল নিয়ে সিআইডিতে পাঠায় স্থানীয় পুলিশ।

সোমবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আশুগঞ্জের যে দোকান থেকে কেনা ওষুধ সেবনের পর শিশু দুটি মারা গেছে, সেই দোকান থেকে আটটি বোতল জব্দ করেছেন তারা। এছাড়া ডিপো থেকে আরও দুটি ব্যাচের নমুনাও সংগ্রহ করেছেন। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের এই প্যারাসিটামল সিরাপের তিন ব্যাচের নমুনা পরীক্ষা করে ‘ক্ষতিকর কিছু মেলেনি’।

এদিকে এর মধ্যে খবর আসে, শিশু দুটিকে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা সেই রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগের টিকেট কাটলেও জরুরি বিভাগের নিবন্ধন খাতায় তাদের নাম পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালের তরফ থেকে সে সময় বলা হয়, টিকেট কাটলেও স্টমাক ওয়াশের ভয়ে হয়ত পরিবারের সদস্যরা শিশু দুটিকে জরুরি বিভাগে না দেখিয়েই ফিরে যান।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD