১৫ মার্চ২০২২, বাংলাদেশ প্রতিদিন দ্বিতীয় যুগে পা রেখেছে আজ। দ্বাদশ পেরিয়ে ত্রয়োদশ বছরে পদার্পণের শুভ সময়কে আমরা সংজ্ঞায়িত করছি আরেক যুগে পদার্পণ হিসেবে।
এক যুগ আগে ধূমকেতুর মতো হঠাৎ আত্মপ্রকাশ করেছিল এ দৈনিকটি। প্রথম বছরেই বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রচার সংখ্যার শীর্ষে পৌঁছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ শুধু নয়, নিউইয়র্ক ও লন্ডন থেকেও প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। অনলাইন সংস্করণের প্রচারও শীর্ষ কাতারে। দেশবাসীর ভালোবাসায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাফেলায় জড়ো হচ্ছে প্রতিনিয়ত বিপুলসংখ্যক পাঠক।
বাংলাদেশের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ দৈনিকটি পথচলার ক্ষেত্রে সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত না করার ঐশী নির্দেশনা অনুসরণ করছে। আমরা পাথেয় হিসেবে নিয়েছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়।
যা কিছু অসত্য তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এ দৈনিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াকু ভূমিকায় কখনো ছেদ পড়েনি। অসাম্প্রদায়িক চেতনা এগিয়ে নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি আমরা।কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়, নিজেকে প্রতিনিয়ত অতিক্রম করাকে বাংলাদেশ প্রতিদিন করণীয় ভেবেছে।
সাধ ও সাধ্যের বৈপরীত্য প্রত্যাশা পূরণে বহু ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করলেও এগিয়ে যাওয়ার সংকল্পে কখনো ছেদ পড়েনি। দ্বিতীয় যুগে পদার্পণের এ স্মরণীয় দিনে আমরা পাঠককে আশ্বস্ত করতে চাই- যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে চলা অব্যাহত রাখবে। মানুষের হৃদয়রাজ্যে যে ঠাঁই গড়ে উঠেছে তা সমুন্নত রাখাকে কর্তব্য ভাববে।
প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে থাকার কৃতিত্বে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং একে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ হিসেবে ভাবা হবে।সংবাদ পরিবেশনে সক্রিয় নিরপেক্ষতার নীতিতে অটল থাকতেও আমরা বদ্ধপরিকর। মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি হিসেবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশ প্রতিদিন।
এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সর্বশক্তিমানের সহায়তা চাই। দ্বিতীয় যুগে পদার্পণের শুভ মুহূর্তে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীর সমর্থন অব্যাহত রাখারও সনির্বন্ধ আবেদন জানাই।